পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳԵ রবীন্দ্র-রচনাবলী চডিভাতি ফল ধরেছে বটের ভালে ভালে ; অফুরন্ত আতিথ্যে তার সকালে বৈকালে বলভোজনে পাখিরা সব আসছে বণকে বাণক । মাঠের ধারে আমার ছিল চড়িভাতির ডাক । যে ষার আপন ভাড়ার থেকে যা পেল যেইখানে মালমসলা নানারকম জুটিয়ে সবাই আনে । জগত-বেজাতের চালে ভালে মিশেল ক’রে শেষে ডুমুরগাছের তলাটাতে মিলল সবাই এসে । বারে বারে ঘটি ভ’রে জল তুলে কেউ আনে, কেউ চলেছে কাঠের খোজে আমবাগানের পণনে । হাসের ডিমের সন্ধানে কেউ গেল গণয়ের মাঝে, তিন কন্যা লেগে গেল রান্নাকরার কাজে । গাঠ-পাকানো শিকড়েতে মাথাটা তার খুরে কেউ পড়ে যায় গল্পের বই জামের তলায় শুল্পে । সকল-কর্ম-ভোলা দিনটা যেন ছুটির নৌকা বণধন-রশি-খোলা চলে যাচ্ছে আপনি ভেলে সে কোন আঘাটায় যথেচ্ছ ভাটায় । মাহুষ যখন পাক ক’রে প্রাচীর তোলে নাই মাঠে বলে শৈলগুহায় যখন তাহার ঠাই, সেইদিনকার আtলগা-বিধির বাইরে-ঘোর প্রাণ মাঝে মাঝে রক্তে আজিও লাগায় মন্ত্রগণন । সেইদিনকণর যথেচ্ছ-রস অস্বিাদলের খোজে মিলেছিলেম অবেলাতে অনিয়মের ভোজে । কারো কোনো স্বত্বদণবীর নেই যেখানে চিহ্ন, যেখালে এই ধরাতলের সহজ দাক্ষিণ্য, হালকল সাদা মেঘের নীচে পুরানো সেই ঘাসে, একটা দিনের পরিচিত আমবাগালের পাশে,