পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्ब्ल 8:3 পারি এমন অহংকার যদি বা মনে থাকে মুখে বলবার সাহল নেই। না হয় তাবাই হল। অর্থাৎ, এমন কোনো ধাতু যাতে মূর্তি-গড়ার কাজ চলে। গদাধরের মূর্তিও হতে পারে, তিলোত্তমারও হয় । অর্থাৎ, রূপরসাত্মক গদ্য, অর্থভারবহু গদ্য লয় । তৈজস গষ্ঠ । সংজ্ঞা পরে হবে, আপাতত প্রশ্ন এই– ওতে চেহারা গড়ে উঠেছে কি না। যদি উঠে থাকে তা হলেই হল । ৭ কীর্তিক `ථාඌL \S) গানের আলাপের সঙ্গে "পুনশ্চ’ কাব্যগ্রন্থের গদ্যিকণরীতির যে তুলনা করেছ সেটা মন্দ হয় নি। কেননা আলাপের মধ্যে তালটা বাধনছাড়া হয়েও আত্মবিস্তৃত হয় না। অর্থাৎ, বাইরে থাকে না মৃদজের বোল, কিন্তু নিজের অঙ্গের মধ্যেই থাকে চলবার একটা ওজন । কিন্তু সংগীতের সঙ্গে কাব্যের একটা জায়গায় মিল নেই। সংগীতের সমস্তটাই অনির্বচনীয়। কাব্যে বচনীয়তা আছে সে কথা বলা বাহুল্য। অনির্বচনীয়তা সেইটেকেই বেষ্টন করে হিল্লোলিত হতে থাকে, পৃথিবীর চার দিকে বায়ুমণ্ডলের মতো । এপর্যন্ত বচনের সঙ্গে অনির্বচনের, বিষয়ের সঙ্গে রসের গাঠ বেঁধে দিয়েছে ছন্দ। পরস্পরকে বলিয়ে নিয়েছে, যদেতদ হৃদয়ং মম তদস্তু হৃদয়ং তব ! বাক এবং অবাক বাধা পড়েছে ছন্দের মাল্যবন্ধনে । এই বাক এবং অবাক -এর একান্ত মিলনেই কাব্য। বিবাহিত জীবনে যেমন কাব্যেও তেমনি, মাঝে মাঝে বিরোধ বাধে, উভয়ের মাঝখানে ফাক পড়ে যায়, ছন্দও তখন জোড় মেলাতে পারে না । সেটাকেই বলি আক্ষেপের বিষয় । বাসরঘরে এক শয্যায় দুই পক্ষ দুই দিকে মুখ ফিরিয়ে থাকার মতোই সেটা শোচনীয় । তার চেয়ে আরো শোচনীয়, যখন "এক কন্তে না খেয়ে বাপের বাড়ি যান । যথাপরিমিত খাদ্যবস্তুর প্রয়োজন আছে, এ কথা অজীর্ণ রোগীকেও স্বীকার করতে হয়। কোনো কোনো কাব্যে বাগদেবী স্থূলখাদ্যাভাবে ছায়ার মতো হয়ে পড়েন। সেটাকে আধ্যাত্মিকতার লক্ষণ বলে উল্লাস না করে আধিভৌতিকতার অভাব বলে বিমর্ষ হওয়াই উচিত। পুনশ্চ’ কাব্যগ্রন্থে আধিভৌতিককে সমাদর করে ভোজে বসানো হয়েছে। যেন জামাইষষ্ঠী। এ মানুষটা পুরুষ। একে সোনার ঘড়ির চেন পরালেও অলংকৃত করা হয় না। তা হোক, পাশেই আছেন কাকনপরা অর্ধবিগুষ্ঠিত মাধুরী, তিনি তার