পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8b- রবীন্দ্র-রচনাবলী নরেশ । মহারাজ যুদ্ধাজিংকে পদত্যাগের আদেশ করেছিলেন, সে তো একেবারেই শোনে নি । এদের পরম্পরের মধ্যে একটা যোগ হয়েছে বলে বোধ হচ্ছে। বিক্রম । কিসে বোধ হল । নরেশ। শিলাদিত্যকে ষে মুহূর্তে মহারানী আহান করে পাঠালেন তার পরমুহূর্তেই সে রাজধানী থেকে চলে গেল। মহারানীর আদেশ গ্রাহই করলে না। বিক্রম। আবার সংকট বাধিয়েছ ? রাজকার্ধে কেন হাত দিতে_গেলে,> মহারানী। "স্বমিত্র। রাজকাৰ্য নয়, আত্মীয়ের কর্তব্য। জালদ্বরের কিছুতে আমার অধিকার না যদি থাকে কাশ্মীরের দায়িত্ব আছে আমার । বিক্রম । সম্মানী লোকের অভিমানে আঘাত করে অসম্মান যদি ফিরে পেয়ে থাক কাকে দোষ দেবে । স্বমিত্রা। আত্মীয় যদি আত্মীয়ের অমর্যাদা করে থাকে তা নিয়ে আমার অভিযোগ নেই। তবে যে অপরাধ রাজার বিরুদ্ধে, তোমার প্রজার হয়ে তারই বিচার আমি চাই । বিক্রম । বিচার যদি চাও তবে প্রথমে যুদ্ধ করতে হবে। স্থমিত্ৰা । হা, যুদ্ধই করতে হবে । বিক্রম । যুদ্ধ ! সে তো নারীর মুখের কথা নয় । সুমিত্রা । নারীর বাহুর সাহায্য যদি চাও তো প্রস্তুত আছি । বিক্রম। দেখো প্রিয়ে, জয়ের অভিপ্রায়েই যুদ্ধ, আস্ফালনের জন্তে নয়। এতে সময় এবং স্বযোগের অপেক্ষা আছে । স্বমিত্রা । রাজকুমার নরেশ, তোমাকে জিজ্ঞাসা করি, দুবৃত্তিদের হাত থেকে প্রজাদের বাচাবার কোনো পথই নেই ? 4. বিক্রম। মহারানী, মনে রেখো দয়ার অবিচারেও অন্যায় আছে। প্রজাদের ’পরে অত্যাচার হচ্ছে এণ্ড যেমন আক্তি , অস্তায়কারীদের শাসন আমার পক্ষে অসাধ্য এও তেমনি অশ্রদ্ধেয় । এসব কথা তোমার সঙ্গেও নয় এবং আজও নয়। দেবদত্ত, পৌরোহিত্য তুমি রাজার কাছ থেকে পাও নি— ত্রিবেদী পুরোহিত । আজ তার অবকাশ নেই, পূজা কাল হবে। রাজার কার্ষে বা পূজার কার্ধে যদি অনধিকার হস্তক্ষেপ কর তবে তোমার পরে রাজার হস্তক্ষেপ প্রতিকর হবে না। মহারানী, উৎসবের বেশ তুমি এখনো পর নি। যাও, রাজার আদেশ, এখনই বেশ পরিবর্তন করো গে । এ তো রাজরানীর বেশ—