পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

इब्ल Woes গভীর পাতাল, যেথা কালরাত্রি করালবদনা বিস্তারে একাধিপত্য। শ্বসয়ে অযুত ফণিফণা দিবানিশি ফাটি রোবে ; ঘোরনীল বিবর্ণ অনল শিখাসংঘ আলোড়িয়া দাপাদাপি করে দেশময় তমোহন্ত এড়াইতে— প্রাণ যথা কালের কবল । উচ্চারিত এবং অল্পচারিত মাত্রা নিয়ে পয়ার যেমন আট পদমাত্রায় সমান দুই ভাগে বিভক্ত এ তা নয় । এর এক ভাগে উচ্চারিত মাত্রা আট, অন্য ভাগে উচ্চারিত মাত্রা দশ । এইরকম অসমান ভাগে ছন্দের গাম্ভীর্ষ বাড়ে। ছন্দে পদে পদে ঠিক সমান ওজন দাবি করা কানের যেন একটা বাধা মেীতাতের মতো দাড়ায়, সেইটি ভেঙে দিলে ছন্দের গৌরব আরো বাড়ে। সংস্কৃত মন্দাক্রাস্তার অসমান ভাগের গাম্ভীর্ঘ সবাই জানেন— f কশ্চিৎকাস্তা- বিরহগুরুণা স্বাধিকার- প্রমত্তঃ । এর প্রথম ভাগে আট, দ্বিতীয় ভাগে সাত, তৃতীয় ভাগে সাত, এবং চতুর্থ ভাগে চার’ মাত্রা। এমনতরো ভাগে কালের কোনো সংকীর্ণ অভ্যাস হবার জো নেই। সংস্কৃতের সঙ্গে সাধু বাংলা সাহিত্যের ছন্দের যে-একটি বিশেষ প্রভেদ আছে সেইটির কথা এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক। সংস্কৃত-উচ্চারণের বিশেষত্ব হচ্ছে তার ধ্বনির দীর্ঘত্বস্বতা । সেইজন্য সংস্কৃতছন্দ কেবলমাত্র পদক্ষেপের মাত্রা গণনা করেই নিশ্চিন্ত থাকে না, নির্দিষ্ট নিয়মে দীর্ঘত্বস্ব মাত্রাকে সাজানো তার ছন্দের অঙ্গ। আমি একটি বাংলা বই থেকে এর দৃষ্টান্ত তুলছি। বইটির নাম ‘ছন্দ কুস্কম’। আর চুয়ান্ন বছর পূর্বের এটি রচনা। লেখক ভুবনমোহন রায়চৌধুরী রাধাকৃষ্ণের লীলাচ্ছলে বাংলা ভাষায় সংস্কৃতছন্দের দৃষ্টান্ত দিয়ে ছন্দ শিক্ষা দেবার চেষ্টা করেছেন। কৃষ্ণবিরহিণী রাধা কালে রঙটারই দূষণীয়তা প্রমাণ করবার জন্তে যখন কালো কোকিল, কালে ভ্রমর, কালো পাথর, কালে লোহার নিন্দা করলেন তখন অপর পক্ষের উকিল লোহার দোষ ক্ষালন করতে প্রবৃত্ত হলেন । | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | দেখহ স্বন্দর লৌহর- থে চড়ি লৌহপ- থে কত লোক চ- লে. , , ষষ্ঠ মু হুর্তক মধ্য ক- রে গতি যোজন পঞ্চ - শের প- খে.. । লৌহবি- নির্মিত তার ত- রে বহু দূর অ- বস্থিত লোক স- বে . . , দূর অ- বস্থিত বন্ধু স- নে স্বধ- চিত্ত প- রম্পর বাক্য ক- ছে.. । ১ পাচ ?