পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Λ ২১৮ ब्रदोछ-ब्रछनांवलौ রণজিং। কী বৈরাগী, চুপ করে রইলে বে। ধনঞ্জয় । ভাবনা ধরিয়ে দিয়েছে, রাজা । রণজিৎ । কিসের ভাবনা ? ধনঞ্জয় । তোমার চওপালের দণ্ড লাগিয়েও যা করতে পার নিজামি দেখছি তাই করে বসে আছি। এতদিন ঠাউরেছিলুম আমি ওদের বলবুদ্ধি বাড়াচ্ছি ; আজ মুখের উপর বলে গেল আমিই ওদের বলবুদ্ধি হরণ করেছি। রণজিৎ । এমনটা হয় কী করে ? o ধনঞ্জয়। ওদের যতই মাতিয়ে তুলেছি ততই পাকিয়ে তোলা হয় নি জার কি। দেনা যাদের অনেক বাকি, শুধু কেবল দৌড় লাগিয়ে দিয়ে তাদের জেনা শোধ হয় না তো। ওর ভাবে আমি বিধাতার চেয়ে বড়ো, তার কাছে ওরা যা ধারে আমি যেন তা নামঞ্জুর করে দিতে পারি। তাই চক্ষু বুজে আমাকেই জাকড়ে থাকে। রণজিৎ । ওরা যে তোমাকেই দেবতা বলে জেনেছে। ধনঞ্জয় । তাই আমাতেই এসে ঠেকে গেল, আসল দেবতা পর্যন্ত পৌঁছোল না। ভিতরে থেকে যিনি ওদের চালাতে পারতেন বাইরে থেকে তাকে রেখেছি ঠেকিয়ে । রণজিৎ । রাজার খাজনা যখন ওরা দিতে আসে তখন বাধা দাও, আর দেবতার পুজো যখন তোমার পায়ের কাছে এসে পড়ে তখন তোমার বাজে না ? ধনঞ্জয়। ওরে বাপ রে। বাজে না তে কী। দৌড় মেরে পালাতে পারলে বাচি । আমাকে পুজো দিয়ে ওরা অস্তরে অন্তরে দেউলে হতে চলল, সে জেলার দায় ৰে আমারও ঘাড়ে পড়বে, দেবতা ছাড়বেন না । রণজিৎ । এখন তোমার কর্তব্য ? ধনঞ্জয় । তফাতে থাকা । আমি যদি পাকা করে ওদের মনের বাধ বেঁধে থাকি, তা হলে তোমার বিভূতিকে আর আমাকে ভৈরব যেন এক সঙ্গেই তাড়া লাগান । 踢 রণজিৎ । তবে আর দেরি কেন ? সরো না । ধনঞ্জয়। আমি সরে দাড়ালেই ওরা একেবারে তোমার চওপালের ঘাড়ের উপর গিয়ে চড়াও হবে। তখন যে-দও জামার পাওনা সেটা পড়ৰে ওদেরই মাখার উপরে। এই ভাবনায় সরতে পারি নে। . . . . . রণজিৎ । নিজে সরতে না পার জামিই সরিয়ে দিচ্ছি। উদ্ধব, বৈরাগীকে এখন