পাতা:ক্রমশ ফসিলের মত একটা শব্দ.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইরাণীর তীরে ডালিয়ায় সাজানো চিতায় [ অনুজার অস্বাভাবিক মৃত্যুর স্মৃতিতে ] স্নিগ্ধ সন্ধ্যাদীপের শিখায় যথেষ্ট আলো হবেনা ভেবেই কি তোর সমস্ত সুন্দর শরীর দিয়ে ওই মারাত্মক আলো জেলেছিলি ? এতো অল্পদিনে তুই কি ক’রে জেনে ফেললি – ফুলবাগানের আলোয় ফোটে, পাখি আকাশের নীলিময় ওড়ে, মেয়ের হৃদয়ের গভীরতায় নিঃশ্বাস নেয় ? শীতের শেষে সেদিন শেষরাত্রে কোলিয়ারীর কলোণীতে খনির গভীর খাদে কি অনেক অন্ধকার জমেছিলো ? মুকুল, তুই কি তোর জীবনের সঙ্গীকে কোথাও কোনো ফ্লোরেই খুজে পাচ্ছিলি না? নাকি খুব কাছ থেকে খুব ভালো ক’রে শেষবার ওকে দেখবি ব’লে অতো ভালো ক’রে আলো জালিয়েছিলি ? তবে কি মধ্যপ্রদেশের অনভ্যস্ত প্রচণ্ড শীতের রাতে বাঙালী মেয়ের ঘরে চাপ চাপ বরফ পড়ছিল ব'লে আগুন পোয়|চ্ছিলি ? নাকি ভয়ঙ্কর নিঃসঙ্গ রাত্রিতে ভীষণ ভয় পেয়েছিলি, ছোট্ট ভীতু বোমটি আমার ? শিকারীরা যেমন ক্লাস্ত প্রতীক্ষার শেষে ক্যাম্পের চারপাশে বেশ করে আগুন জেলে নিশ্চিন্তে ঘুমোয়, তুইও কি তেমন তোর ভালবাসার জঘন্য হত্যাকারীকে খুজে না পেয়ে এবারের মতো নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমোতে চেয়েছিলি ? কিন্তু অতো তীব্র আলো জললে কি গভীর ঘুমানো যায় রে ? ইরাণী নদীর তীরে তোর জহরত্ৰতর শেৰে গোধূলি তোর সিথিতে সি ট্র হ’য়ে পায়ের পাতায় আলত হ’য়ে ঝ’রে প’ড়ছিল তখন। তখন সন্ধ্যায় ডালিয়ায় সাজানো চিতায় তোর স্বন্দর শরীরে আর একবার যে আশ্চর্য আলো জ'লে উঠলে তা চোখের জলে নদীর জলে তোর ভালোবাসায় কতো স্নিগ্ধ হয়েছিলো । \రిశ్రt