পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবজাতক । YÒ কেন জ্যোতিষীরা বলে, সবিতার আত্মদানযজ্ঞের হোমাগ্নিবেদিতলে যে জ্যোতি উৎসর্গ হয় মহারুদ্রতপে এ বিশ্বের মন্দিরমণ্ডপে, অতিতুচ্ছ অংশ তার ঝরে পৃথিবীর অতিক্ষুদ্র মৃৎপাত্রের পরে। অবশিষ্ট অমেয় আলোকধারা পথহারা, আদিম দিগন্ত হতে অক্লাস্ত চলেছে ধেয়ে নিরুদ্দেশ স্রোতে । সঙ্গে সঙ্গে ছুটিয়াছে অপার তিমির-তেপাস্তরে অসংখ্য নক্ষত্র হতে রশ্মিপ্লাবী নিরন্তু নিবারে সর্বত্যাগী অপব্যয়, আপন স্থষ্টির পরে বিধাতার নির্মম অল্পায় । কিংবা এ কি মহাকাল কল্পকল্পাস্তের দিনে রাতে এক হাতে দান ক’রে ফিরে ফিরে নেয় অন্ত হাতে । সঞ্চয়ে ও অপচয়ে যুগে যুগে কাড়াকড়ি যেন— কিন্তু, কেন । তার পরে চেয়ে দেখি মানুষের চৈতন্যজগতে ভেসে চলে সুখদুঃখ কল্পনাভাবনা কত পথে । কোথাও বা জলে ওঠে জীবন-উৎসাহ, কোথাও বা সভ্যতার চিতাবহিদাহ নিভে আসে নিঃস্বতার ভস্ম-অবশেষে । নিঝর ঝরিছে দেশে দেশে— লক্ষ্যহীন প্রাণস্রোত মৃত্যুর গহ্বরে ঢালে মহী বাসনার বেদনার অজস্র বুৎ দপুঞ্জ বহি। কে তার হিসাব রাখে লিখি ।