পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्ञान ৩২১ হাজার ছেলেমেয়ে এই ছড়া আউড়েছে, তবু ছন্দের কোনো গর্তে তাদের কারো কণ্ঠ স্থলিত হয় নি। ফাকগুলো যদি ঠেসে ভরাতে কেউ ইচ্ছা করেন— দোহাই দিচ্ছি, না করেন যেন— তবে এইরকম দাড়াবে— বৃষ্টি পড়ছে টাপুর টুপুর নদের আসছে বন্যা, শিব ঠাকুরের বিয়ের বাসরে দান হবে তিন কস্তা । রামপ্রসাদের একটি গান আছে— মা আমায় ঘুরাবি কত চোখবাধা বলদের মতো এটাও তিন মাত্রা লয়ের ছন্দ । মা-অা । মায় ঘু। রাবি- কত । ফণক ভরাট করতে হলে হবে এই চেহারা— হে মাতা আমারে ঘুরাবি কতই চক্ষুবদ্ধ বৃষের মতোই। র্যারা অক্ষর গণনা করে নিয়ম বাধেন তাদের জানিয়ে রাখা ভালো যে, স্বরবর্ণে টান দিয়ে মিড় দেবার জন্যেই প্রাকৃত-বাংলা ছন্দে কবিরা বিনা দ্বিধায় ফাক রেখে দেন ; সেই ফাকগুলো ছন্দেরই অঙ্গ, সে-সব জায়গায় ধ্বনির রেশ কিছু কাজ করবার অবকাশ পায় । হারিয়ে ফেলা বাশি আমার পালিয়েছিল বুঝি লুকোচুরির ছলে। এর মধ্যে প্রায় প্রত্যেক যতিতে ফণক আছে । > २ •ල 8 হারিয়ে ফেলা- বাশি অামা-র। পালিয়েছিল। বুঝি— । 6: وقا লুকোচুরি-র । ছলে— । কিছু বৈচিত্র্যও দেখছি। প্রথম দুটি বিভাগে সমান্তরাল ফাক। কিন্তু তিনের ভাগে ফাক বাদ গিয়ে একেবারে চতুর্থ ভাগের শেষে দীর্ঘ ফাক পড়েছে। পাঠক ‘হারিয়ে ফেলা’র পরেও ফাক না দিয়ে একেবারে দ্বিতীয় ভাগের শেষে যদি সেটা পূরণ করে দেন তবে ভালোই শুনতে হবে। কিন্তু যদি বেফাক ঠাসবুনানির বিশেষ ফরমাশ থাকে তা হলে সেটাও চেষ্টা করলে মন্দ হবে না।