পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छ्न्ण 8Հ5» এই দুর্বলতার মধ্যে যুক্তবর্ণ এসে দেখা দিল— নববর্ষার বারিসংঘাতে পড়ে মল্লিকা ঝরিয়া, সিক্তপবন স্বগন্ধে তারি কারুণ্যে উঠে ভরিয়া । তিন-তিন মাত্রায় যার গ্রন্থিযোজন এমন আর-একটি ছন্দের দৃষ্টান্ত দেখাই— আঁখির পাতায় নিবিড় কাজল গলিছে নয়ন সলিলে । অক্ষরসংখ্যা সমান রেখে এই দুটো পদে যুক্তবর্ণ যদি চড়াই তা হলে সেটা কেমন হয়— যেমন এক-এক সময়ে দেখা যায়, জোয়ান পুরুষ ক্ষীণ স্ত্রীর ঘাড়ে বোঝা চাপিয়ে পথে চলে নির্মমভাবে । প্রমাণ দিই— { } চক্ষুর পল্লবে নিবিড় কাজল গলিছে অশ্রুর নিবরে । কিন্তু, এই বোঝা পয়ারজাতীয় পালোয়ানের স্বন্ধে চাপালে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে না । প্রথমে বিনা-বোঝার চালটা দেখানো যাক— শ্রাবণের কালো ছায়া নেমে আসে তমণলের বলে যেন দিক-ললনার গলিত কণজল-বরিষনে । এটিকে গুরুভার করে দিই— বর্ষার তমিশ্রচ্ছায়া ব্যাপ্ত হল অরণ্যের তলে যেন অশ্রুসিক্ত চক্ষু দিগ বধূর গলিত কাজলে । এতটা ভারবৃদ্ধি যে সম্ভব হয় তার কারণ পয়ার স্থিতিস্থাপক । ধ্বনির দুই মাত্রা এবং তিন মাত্র বাংলা ছন্দের আদিম এবং রূঢ়িক উপাদান । তার পরে এই দুই এবং তিনের ষোগে যৌগিকমাত্রার ছন্দের উৎপত্তি। তিন+ছই, তিন+চার, তিন+ছুষ্ট + চার প্রভৃতি নানাপ্রকার যোগ চলেছে আধুনিক বাংলা ছন্দে । তিন+ছুই মাত্রামুলক ছন্দের দৃষ্টাস্ত— 媳 আঁধার রাতি জেলেছে ৰাতি অযুতকোটি তারা, মাপন কারা-ভবনে পাছে আপনি হয় হারা । ミ〉闘R? (`