পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెb* রবীন্দ্র-রচনাবলী দ্বিতীয়ভাগ করতে সারা ছ'মাস ধরে নাকাল ।” রেগেমেগে বলেন, “বাঙ্কর, নাম জিঙ্ক তোর মাকাল ।* নামটা শুনে ভাবলে প্রথম বাকিয়ে যুগল ভুরু , তার পর লে বাড়ি এসে নৃত্য করলে শুরু । হঠাৎ ছেলের মাতল দেখি সবাই তাকে শুধায়, এ কী ! সকলকে সে জানিয়ে দিল, নাম দিয়েছেন গুরু— নতুন নামের উৎসাহে তার বক্ষ দুরুহুরু । কোলের পরে বসিয়ে দাদা বললে কালে-কানে, “গুরুমশায় গাল দিয়েছেন, বুঝিল নে তার মানে ?” রাখাল বলে, “কখখোনে না, মা যে আমার বলেন সোনা, সেটা তো গাল নয় সে কথা পাড়ার সবাই জানে । আচ্ছা, তোমায় দেখিয়ে দেব, চলো তো ঐখানে ৷” টেনে নিয়ে গেল তাকে পুকুরপাড়ের কাছে, বেড়ার পরে লতায় যেথা মাকাল ফ’লে আছে । বললে, “দাদা সত্যি বোলো, সোনার চেয়ে মন্দ হল ? তুমি শেষে বলতে কি চাও, গাল ফলেছে গাছে ।” “মাকাল আমি” ব’লে রাখাল ছ হাত তুলে নাচে । দোয়াত কলম নিয়ে ছোটে, খেলতে নাছি চায় ; লেখাপড়ায় মন দেখে মা অবাক হয়ে যায় । খীৰার বেলায় অবশেষে দেখে ছেলের কাও এসে— মেঝের পরে ঝুঁকে প’ড়ে খাতার পাতাটায় লাইন টেনে লিখছে শুধু— মাকালচন্দ্র রায় । ৮ ডিসেম্বর ১৯৩১