পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

X68 রবীন্দ্র-রচনাবলী তবে দূর হতে তোমাদের মঙ্গল করতে পারব। আমাকে কামনা কোরো না, এই তোমার কাছে আমার শেষ নিবেদন । আমাকে ত্যাগ করো, তোমাদের শান্তি হোক ৷” বিক্রম। দেন নি, তিনি কিছুই দেন নি, সমস্ত ফাকি ! নারী যে স্বধা এনেছে আমার দীনতম প্রজারও ঘরে, আমি রাজ্যেশ্বর তার কণাও পাই নি— আমার দিন রাত্রি তৃষ্ণায় শুকিয়ে গেছে, স্বধাসমূত্রের তীরে বসে। নরেশ, আজ আমাকে কী করতে হবে বলো, আমি মন স্থির করতে পারছি নে । নরেশ। মহারাজ, আমার কথা শোনো, তাকে ফিরিয়ে আনবার চেষ্টা কোরো না । বিক্রম । কী বললে! করব না চেষ্টা! বিশ্বের সামনে আমার পৌরুষ ধিক্‌কৃত হবে! আলো আগে তাকে ফিরিয়ে, তার পর সর্বসমক্ষে তাকে ত্যাগ করব । রাষ্ট্রপালকে বলে তাকে অাকুক বন্দী করে। নরেশ ৷ হবে না মহারাজ, সে হবে না, আমার প্রাণ থাকতে সে হতে দেব না । বিক্রম । বিদ্রোহ ? নরেশ । ই বিদ্রোহ ! তুমি আত্মবিশ্বত, তোমার অনুমোদন করে তোমার অবমাননা করতে পারব না । তোমার রাজ্যসীমা অতিক্রম করতে এখনো তার তিন-চার দিন লাগবে । আমি নিজে যাব তাকে ফিরিয়ে আনতে । বিক্রম । যাও, তবে এখনই যাও, শীঘ্ৰ যাও । [ নরেশের প্রস্থান মন্ত্রী, তুমি ভাবছ, তাকে ক্ষমা করে ফিরিয়ে আনছি। একেবারেই নয়। রাজবিদ্রোহিণী তিনি, আমি নিজেই দিতেম তাকে নির্বাসন | আমার দণ্ড এড়িয়ে তিনি পালাচ্ছেন, এই আমার ক্ষোভ । মন্ত্রী। মহারাজ, তাকে দগু দেবার কথা বলে আমাদের সকলকে দুঃখ দিচ্ছেন। তিনি কাছে আসলেই দেখতে পাবেন তাকে দণ্ড দেবার সাধ্য আপনার নেই। বিক্রম । তা হতে পারে, আমি মুগ্ধ। এ মোহপাশ যাক, যাক ছিন্ন হয়ে, আমি আনব না তাকে আমার কাছে । প্রতিহারী, রাজকুমার নরেশকে শীঘ্র ফিরিয়ে আলো । যেতে দাও, যেতে দাও, কাশ্মীরের কন্যাকে কাশ্মীরে ফিরে যেতে দাও । মন্ত্রী । দাসের অম্বনয় শুকুন মহারাজ। রাজকুমার নরেশ তাকে ফিরিয়ে আকুন, তার পরে আজকের দিনের এই ক্ষতবেদন ভুলতে দেরি হবে না । বিক্রম। মিনতি করে ফিরিয়ে আনা নয়, নয়, কিছুতেই নয়। একদিন যুদ্ধ করে তাকে জালন্ধরে এনেছি, পুনর্বার যুদ্ধ করেই তাকে জালন্ধরে ফিরিয়ে उवांमव ।