পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8 রবীন্দ্র-রচনাবলী পদ্মায় অামার নেীকে বাধা ছিল পদ্মানদীর পারে, হাসের পাতি উড়ে যেত মেঘের ধীরে ধীরে— জানি নে মন-কেমন-করা লীগত কী স্থর হাওয়ার আকাশ বেয়ে দূর দেশেতে উদাস হয়ে যাওয়ার । কী জানি সেই দিনগুলি সব কোন আঁকিয়ের লেখা, ঝিকিমিকি সোনার রঙে হালকা তুলির রেখা । বালির পরে বয়ে যেত স্বচ্ছ নদীর জল, তেমনি বইত তীরে তীরে গায়ের কোলাহল— ঘাটের কাছে, মাঠের ধারে, অালো-ছায়ার স্রোতে ; অলস দিনের উড় নিখানার পরশ আকাশ হতে বুলিয়ে যেত মায়ার মন্ত্র আমার দেহে মনে । তারই মধ্যে আসত ক্ষণে ক্ষণে দূর কোকিলের স্বর, মধুর হত আশ্বিনে রোদস্তুর । পাশ দিয়ে সব নেীকে বড়ো বড়ো পরদেশিয়া নানা খেতের ফসল ক’রে জড়ো পশ্চিমে হাট বাজার হতে, জালি লে তার লাম, পেরিয়ে আগসত ধীর গমনে গ্রামের পরে গ্রাম ঝপ ঝপিয়ে দাড়ে । খোরাক কিনতে নামত দাড়ি ছায়ানিবিড় পাড়ে । यथंन झड प्रिंटनग्न च्यबगांन গ্রামের ঘাটে বাজিয়ে মাদল গাইত হোলির গান । ক্রমে রাত্রি নিবিড় হয়ে নৌকো ফেলত ঢেকে, একটি কেবল দ্বীপের অালো জলত ভিতর থেকে । শিকলে আর স্রোতে মিলে চলত টানের শব্দ ; স্বপ্নে যেন ব’কে উঠত রজনী নিস্তন্ধ । পুবে হাওয়ার এল ঋতু, আকাশ-জোড়া মেষ ; ঘরমুখে ওই নৌকোগুলোয় লাগল অধীর বেগ ।