পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তপর্তী Σ ΦΣ নরেশ । এ গান কোথায় পেলে বিপাশা ? .ب বিপাশা। কাশ্মীরে মার্তগুদেবের মন্দিরে আমরা এ গান গাই হেমন্তে গিরিশিখিরে যখন আলোকরাজ্যে অরাজকতা আসে । নরেশ । এ গান আমাকে শোনালে যে ? বিপাশা। এখানকার ক্লিষ্ট আকাশে তুমিই আলোকের দূত। যাক মীনকেতুর বেদি ভেঙে, সেখানে তোমার আসন ধরবে না, রুদ্রভৈরবের নির্মাল্য আনব তোমার জন্তে । এখানে তিনি ভৈরব কাশ্মীরে তিনিই মার্তগু, সেই দেবতাকে প্রসন্ন করো বীর। আজ সকালে আর্তব্রাণের জন্যে ষে কৃপাণ খুলেছিলে একবার দাও আমার হাতে । ( তলোয়ার কপালে ঠেকিয়ে ) রুত্রের তৃতীয় চক্ষুতে তুমিই অগ্নি, প্রভাতমাউণ্ডের দীপ্ত দৃষ্টিতে তুমিই রোজস্থটা, বীরের হাতে তুমি কৃপাণ, তোমাকে নমস্কার। জাগো হে রুদ্র জাগো । সুপ্তিজড়িত তিমিরজাল সহে না সহে না গো । এসো নিরুদ্ধ দ্বারে বিমুক্ত করে তারে, তনুমনপ্রাণ ধনজনমান হে মহাভিক্ষু, মাগো। রাজকুমার, ওই দেখো ! নরেশ । সেই আমার পদ্মের কুঁড়ি ! এখনো রেখেছ ? বিপাশা ৷ এ আজ কথা কয়েছে– কাশ্মীরের হৃদয় জেগেছে এর মধ্যে । নরেশ । ওই আসছেন মন্ত্রীর সঙ্গে রাজা । আমাকে হয়তো প্রয়োজন আছে— তুমি মন্দির-প্রাঙ্গণে অপেক্ষ করে। [ বিপাশার প্রস্থান বিক্রম ও মন্ত্রীর প্রবেশ বিক্রম। প্রজারা বিদ্রোহী ? কোথায় । মন্ত্রী। বুধকোটে সিংহগড়ে । বিক্রম | ক্ষমার কথা বোলো না । অক্ষমের স্পধর্ণ সৰ চেয়ে ক্ষমার অযোগ্য । নরেশ । বস্তুত ওদের বিজোছ বিদেশী সামন্তদের বিরুদ্ধে । বিক্রম। তারা কি আমার প্রতিনিধি নয় ।