পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিকা মায়ার আবর্ত রচে আসায় যাওয়ায় চঞ্চল সংসারে । ছায়ার তরঙ্গ যেন ধাইছে হাওয়ায় ভাটায় জোয়ারে । উধ্বকণ্ঠে ডাকে কেহ, স্তন্ধ কেহ ঘরে এসে বসে– প্রত্যহের জানাশোনা, তবু তারা দিবসে দিবসে পরিচয়হীন । এই কুঙ্কটিকালোকে লুপ্ত হয়ে স্বপ্নের তামসে কাটে জীর্ণ দিন । সন্ধ্যার নৈঃশব্দ্য উঠে সহসা শিহরি ; না কহিয়া কথা কখন যে আস কাছে, দাও ছিন্ন করি মোর অস্পষ্টতা । তখন বুঝিতে পারি, আছি আমি একান্তই আছি মহাকালদেবতার অন্তরের অতি কাছাকাছি মহেন্দ্রমন্দিরে ; জাগ্রত জীবনলক্ষ্মী পরায় আপন মাল্যগাছি উন্নমিত শিরে । তখনি বুঝিতে পারি, বিশ্বের মহিমা উচ্ছ্বসিয়া উঠি রাখিল সত্তায় মোর রচি নিজ সীমা আপন দেউটি স্বষ্টির প্রাঙ্গণতলে চেতনার দীপশ্রেণী-মাঝে সে দীপে জলেছে শিখা উৎসবের ঘোষণার কাজে ; সেই তো বাখানে, অনির্বচনীয় প্রেম অন্তহীন বিস্ময়ে বিরাজে দেহে মনে প্রাণে । ৫ শ্রাবণ ১৩৪০ ❖ ዓ