পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিকা সমস্ত পৃথিবী তুমি অবজ্ঞায় করেছ অশুচি, গরবিনী, তাই সেই শক্তি গেছে ঘুচি আপনার অন্তরে রহিতে অমলিনা— হায়, তুমি নিখিলের আশীর্বাদহীনা। ৪ অগস্ট ১৯৩২ প্রলয় আকাশের দূরত্ব যে, চোখে তারে দূর বলে জানি, মনে তারে দূর নাহি মানি । কালের দূরত্ব সেও যত কেন হোক-না নিষ্ঠুর তবু সে দুঃসহ নহে দূর । আঁধারের দূরত্বই কাছে থেকে রচে ব্যবধান, চেতনা আবিল করে, তার হাতে নাই পরিত্রাণ শুধু এই মাত্র নয়— সে-যে স্বষ্টি করে নিত্য ভয় । ছায়া দিয়ে রচি তুলে আঁকাবঁকা দীর্ঘ উপছায়া, জানারে অজানা করে— ঘেরে তারে অর্থহীনা মায়া । পথ লুপ্ত করে দিয়ে যে পথের করে সে নির্দেশ নাই তার শেষ । সে পথ ভুলায়ে লয় দিনে দিনে দূর হতে দূরে ধ্রুবতারাহীন অন্ধপুরে । অগ্নিবন্যা বিস্তারিয়া ষে প্রলয় আনে মহাকাল, চন্দ্রস্বর্ধ লুপ্ত করে আবর্তে-ঘূর্ণিত জটাজাল, দিব্য দীপ্তিচ্ছটায় সে সাজে, বজের ঝঞ্চনামন্দ্রে বক্ষে তার রুদ্রবীণা বাজে । যে বিশ্বে বেদন হানে তাহারি দাহনে করে তার পবিত্র সৎকার । জীর্ণ জগতের ভস্ম যুগান্তের প্রচও নিশ্বাসে লুপ্ত হয় ঝঙ্কার বাতাসে। ఏ(t