পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भलांछुिनिष्कछन 8ዋሉ¢ ষার জলে তার অভিষেক, যার অন্নে তার জীবন, যার অভ্ৰভেদী রহস্ত-নিকেতনের নানা দ্বার দিয়ে নানা দূত বেরিয়ে এসে শৰে গন্ধে বর্ণে ভাবে মানুষের চৈতন্তকে নিত্যনিয়ত জাগ্রত করে রেখে দিয়েছে ভারতবর্ষ সেই প্রকৃতির মধ্যে আপনার ভক্তিবৃত্তিৰে সৰ্বত্র ওতপ্রোত করে প্রসারিত করে দ্বিয়েছে। । জগৎকে ভারতবর্ষ পূজার দ্বারা গ্রহণ করেছে, তাকে কেবলমাত্র উপভোগের দ্বারা খর্ব করে নি, তাকে सेनानीरन्नब चाब्र निcखद्र कर्षकजब बाहेब पूब गबिरब cब८थ cनञ्च नि ; ७हे বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে পবিত্র যোগেই ভারতবর্ষ আপনাকে বৃহৎ করে সত্য করে জেনেছে, ভারতবর্ষের তীর্থস্থানগুলি এই কথাই ঘোষণা করছে। বিদ্যালাভ করা কেবল বিদ্যালয়ের উপরেই নির্ভর করে না। প্রধানত ছাত্রের উপরেই নির্ভর করে। অনেক ছাত্র বিদ্যালয়ে যায়, এমন কি উপাধিও পায়, অথচ বিদ্যা পায় না । তেমনি তীর্থে অনেকেই যায় কিন্তু তীর্থের যথার্থ ফল সকলে লাভ করতে পারে না। যারা দেখবার জিনিসকে দেখবে না, পাবার জিনিসকে নেবে না, শেষ পর্যন্তই তাদের বিদ্যা পুথিগত ও ধর্ম বাহ আচারে আবদ্ধ থাকে। তারা তীর্থে যায় বটে কিন্তু যাওয়াকেই তারা পুণ্য মনে করে, পাওয়াকে নয়। তারা বিশেষ জল বা বিশেষ মাটির কোনো বস্তুগুণ আছে বলেই কল্পনা করে, এতে মাহবের লক্ষ্য ভ্ৰষ্ট হয়, যা চিত্তের সামগ্ৰী তাকে বস্তুর মধ্যে নির্বাসিত করে নষ্ট করে। আমাদের দেশে সাধনামাজিত চিত্তশক্তি যতই মলিন হয়েছে এই নিরর্থক বাহিকতা ততই বেড়ে উঠেছে এ-কথা স্বীকার করতেই হবে । কিন্তু আমাদের এই দুৰ্গতির দিনের জড়ত্বকেই আমি কোনোমতেই ভারতবর্ষের চিরন্তন অভিপ্রায় বলে গ্রহণ করতে পারি নে । I কোনো একটি বিশেষ নদীর জলে স্বান করলে নিজের অথবা ত্রিকোটিসংখ্যক পূর্বপুরুষের পারলৌকিক সদগতি ঘটার সম্ভাবনা আছে এ-বিশ্বাসকে আমি সমূলক বলে মেনে নিতে রাজি নই এবং এ-বিশ্বাসকে আমি বড়ে জিনিস বলে শ্রদ্ধা করি নে। কিন্তু অবগাহন স্বানের সময় নদীর জলকে ষে-ব্যক্তি যথার্থ ভক্তির দ্বার সর্বাঙ্গে এবং সমস্ত মনে গ্রহণ করতে পারে আমি তাকে ভক্তির পাত্র বলেই জ্ঞান করি। কারণ, নদীর জলকে সামান্ত তরল পদার্থ বলে সাধারণ মানুষের যে একটা স্কুল সংস্কার, একটা তামসিক অবজ্ঞা আছে, সাবিষ্ণতার দ্বারা অর্থাং চৈতন্তময়তার দ্বারা সেই জড় সংস্কারকে সে-লোক কাটিয়ে উঠেছে—এই জন্তে নদীর জলের সঙ্গে কেবলমাত্র তার শারীরিক ব্যবহারের বাহ সংস্রব ঘটে নি, তার সঙ্গে তার চিভের যোগসাধন হয়েছে। এই নদীর ভিতর দিয়ে পরম চৈতন্য তার চেতনাকে একভাবে স্পর্শ করেছেন। সেই