পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8:b রবীন্দ্র-রচনাবলী গীতিমাল্য গীতিমাল্য ১৩২১ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের নিকট গীতিমাল্যের অধিকাংশ গানের পাণ্ডুলিপি রক্ষিত ছিল । তাহার পত্নী কমলা দেবীর সৌজন্তে উহা দেখিবার সুযোগ হইয়াছে, ও উহা অবলম্বনে গীতিমাল্যের কোনো কোনো গানের পাঠ ও রচনা-তারিখ সংশোধিত হইয়াছে। গীতিমাল্যের প্রথম সংস্করণ হইতে ‘কে নিবি গো কিনে আমায়, কে নিবি গো fron’s TSR-sta Vale of Health, Hampstead, to #5Ri-Stfo জুলাই ১৯১২ মুদ্রিত হইয়া আসিতেছে। দিনেন্দ্রনাথের সংগ্ৰহ হইতে প্রাপ্ত পূর্বোক্ত গানের খাতায় ইহার পাণ্ডুলিপি নাই। স্থান-তারিখের এই নির্দেশ মে ভ্ৰমাত্মক ঐপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় সে বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছেন। সস্তোষচন্দ্র wortars 508 W. High Street, Urbana, Illinois, U. S. A. & ২৪ পৌষ ১৩১৯ [ ৮ জানুয়ারি ১৯১৩ ] তারিখে লিখিত রবীন্দ্রনাথের নিম্নমুদ্রিত পত্রটি হইতে রচনার স্থান-তারিখ নির্দেশ করা সম্ভব হইল — নরেন্দ্র সিংহকে কয়েক দিন হল র্তার স্বরুলের বাড়ির অবস্থা জানিয়ে চিঠি লিখেছি। আমার চিঠি পেয়ে যদি তিনি নিষ্কৃতি দেন তা হলে ভালোই, না যদি দেন তা হলে ঐ ভাঙা সম্পত্তিই প্রসন্নমনে শিরোধার্য করে নিতে হবে । লোকসান জিনিসটাকে মর্মের মধ্যে বিধিয়ে রক্ত বিষাক্ত করে তোলবার দরকার নেই— যা গেছে তাকে যেতে দাও, যা এসেছে তাকে নিয়ে নাও এবং যতটুকু তার কাছ থেকে আদায় করে নিতে পার সেইটুকুই আদায় করে নাও। সংসারের এই-সমস্ত ছোটোখাটো লোকসানের কামড়গুলো পি পড়ে লাগার মতে— তারা অতি ক্ষুদ্র । কিন্তু যদি তাদের লেগে থাকতে দাও তা হলে তারা সমস্তটাকে ক্ষয় করে ফেলে। অতএব ঝেড়ে ফেলে দাও । জীবনের অন্তরতর প্রসন্নতা স্বরুলের ভাঙা বাড়ির চেয়ে ঢের বড়ো। আজ সকালে বসে খামকা একটা কবিতা লিখতে ইচ্ছা হল— ধ" করে লিখে ফেললুম। লেখা হয়ে গেলে তার পর চেতনা হল এটা আমারই জীবনের ইতিহাস— আমার জীবনদেবতা হাস্তমুখে সেইটা লিপিবদ্ধ করেছেন। জীবনে কিরকম লাভের ব্যাবসাট ষে অামি ফেঁদেছি তিনি বিষয়ী লোকের কাছে সেইটি প্রকাশ করে দিয়েছেন। তোমরা তো দেখতেই পাচ্ছ, অনেক ঘোরাঘুরির পর শেষকালে নি:সৰল