পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Af গ্রন্থপরিচয় (శ్రీ లీ কারণে আমার খুব রাগ হয়েছিল, অভি এসে আমার চৌকির পিছনে দাড়িয়ে চুলে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ঠিক সেই সময়ে যা-তা বকে গেল ; এক মুহূর্তে আমার সমস্ত রাগ জুড়িয়ে গেল। সে আজ অনেক দিনের কথা, কিন্তু আজও মনে আছে। তারই মুখে রূপকথা শুনে আমি ‘সোনার তরীতে বিম্ববতীর গল্প লিখেছিলেম। সে অনেক দিন হল মারা গেছে। এখন আমার কাছে অনেকে তর্ক করতে আসে, গম্ভীর বাজে কথা আলাপ করতে চায়, কিন্তু অনেক দিন তেমন করে গল্প কেউ বলে নি । আমি ফিরে এলে দু ঘণ্টা ধরে গল্প করবে বলেছ, ভয় হয় পাছে ততদিন তুমি বেশি বড়ো হয়ে গম্ভীর হয়ে যাও। লোভ হচ্ছে শিগগির ফিরে আসতে। কিন্তু ওদিকে তোমার শুভকামনা সব জায়গায় সম্পূর্ণ সফল করতে তো দেরি হবে। এই দ্বিধায় রইলুম। ফিরে এলে দ্বিধা কাটবে, ইতিমধ্যে আমার অস্তরের আশীৰ্বাদ গ্রহণ করে। ইতি ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯২৪ 'জাভাযাত্রীর পত্র অংশের রচনাকাল ১৯২৭ সালের জুলাই হইতে অক্টোবরের মধ্যে । ১৩৩৪-৩৫ সালের মধ্যে সবগুলি রচনা ‘বিচিত্রায় প্রকাশিত— ২১ সংখ্যক পত্র ছাড়া, সেটি ১৩৩৪ অগ্রহায়ণের “প্রবাসী’তে ‘কালের আপেক্ষিকতা’ শিরোনামে মুদ্রিত। ক্রন্থনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ক্রম্বরেন্দ্রনাথ কর, শ্ৰীধীরেন্দ্রকৃষ্ণ দেববর্ম প্রমুখ অধ্যাপক ও শিল্পীগণকে সঙ্গে লইয়া ১৯২৭ সালে ১৪ জুলাই মাদ্রাজ হইতে রবীন্দ্রনাথ পূর্বদ্বীপপুঞ্জ অভিমুখে যাত্রা করেন। জাভা বালি প্রভৃতি দ্বীপ ভ্রমণ করিয়া সিয়াম হইয়া অক্টোবরের শেষে তিনি ফিরিয়া আসেন। নবম পত্রে শ্রীপ্রতিমা দেবীকে তিনি লিথিয়াছেন, “সমস্ত বিবরণ বোধ হয় স্থনীতি কোনো-এক সময়ে লিখবেন।. বুঝতে পারছি তার হাতে আমাদের ভ্রমণের ইতিবৃত্ত লেশমাত্র ব্যর্থ হবে না, লুপ্ত হবে না।” ১৩৩৪ সালের ভাত্র হইতে ১৩৩৮ সালের আশ্বিন পর্যন্ত প্রবাসীর ধারাবাহিক সংখ্যায় ঐহনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাহাদের এই ভ্রমণের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত ‘ষবদ্বীপের পথে ও ‘দ্বীপময় ভারত’ নামে ক্রমশ প্রকাশ করেন । পরে উহা ‘দ্বীপময় ভারত’ নামে গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হইয়াছে। পঞ্চদশ পত্রে উল্লেখ আছে যে, রবীন্দ্রনাথ জাভানি শ্রোতাদের সভায় স্বরচিত কবিতা পাঠ করিয়া শুনাইবেন । সেই সভাতুষ্ঠানের পরে লিখিত এক পত্র রবীন্দ্রভবনের সংগ্ৰহ হইতে প্রাসঙ্গিক বোধে নিম্নে মুদ্রিত হইল : ‘আমার কবিতা পাঠ হয়ে গেলে পর এরা আমাকে কতকগুলি গান শুনিয়েছিল, তার মধ্যে একটি গান গদ্যছন্দে তর্জমা করে দিলুম—