পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী হঠাৎ দেখি লুকিয়ে নিল । বুকের পকেটেতে। দেখে যেমন হাসি পেল, পড়ল দীর্ঘশ্বাস । কার্পেটটা গুটিয়ে দিল দেয়াল ঘেঁষে— জন্মদিনের পাওয়া, হল বছর-সাতেক । অবসাদের ভারে অলস মন, চুল বাধতে গা লাগে নাই সারা সকালবেলা, আলগা আঁচল অন্তমনে বাধি নি ব্রোচ দিয়ে । কুটিকুটি ছিড়তেছিলেম একে-একে পুরোনো সব চিঠি— ছড়িয়ে রইল মেঝের পরে, বাট দেবে না কেউ বোশেখমাসের শুকনো হাওয়া ছাড়া । ডাক আনল পাড়ার পিয়ন বুড়ো, দিলেম সেটা কাপা হাতে রিডাইরেক্টেড ক’রে । রাস্তা দিয়ে চলে গেল তপসি-মাছের হাক, চমকে উঠে হঠাৎ পড়ল মনে— নাই কোনো দরকার । মোটর-গাড়ির চেনা শব্দ কখন দূরে মিলিয়ে গেছে সাড়ে-দশটা বেলায় পেরিয়ে গিয়ে হাজরা রোডের মোড় । উজাড় হল ঘর, দেয়ালগুলো অবুঝ-পার তাকিয়ে থাকে ফ্যাকাশে দৃষ্টিতে যেখানে কেউ নেই। সিড়ি বেয়ে পৌছে দিল অবিনাশ ট্যাক্সিগাড়ি-’পরে। এই দরোজায় শেষ বিদায়ের বাণী । শোনা গেল ঐ ভক্তের মুখে—