পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रयौटज-ब्रध्नांवलौ "שא-8 সেইজন্তেই হুখেও তাকে নমস্কার, দুঃখেও তাকে নমস্কার। ওইখানেই পিতার পূর্ণতা; তিনি ছুঃখ দেন । * k উপনিষং একদিকে বলেছেন, আনন্দাদ্ধোব খৰিমানি ভূতানি জায়ন্তে । আনন্দ হতেই যা কিছু সমস্ত জন্মেছে। আবার আর-একদিকে বলেছেন, ভয়াদস্তাগ্নিস্তপতি । ভয়াত্তপতি স্বৰ্ষ । ইহার ভয়ে অগ্নি জলছে, ইহার ভয়ে স্বৰ্ষ তাপ দিচ্ছে । তার আনন্দ উচ্ছ,স্বল আনন্দ নয়, তার মধ্যে একটি অমোঘ নিয়মের শাসন আছে। অনন্ত দেশে অনন্তকালে কোথাও একটি কণাও লেশমাত্র ভ্রষ্ট হতে পারে না । সেই অমোঘ নিয়মই হচ্ছে ভয় । তার সঙ্গে কিছুমাত্র চাতুরী খাটে না, সে কোথাও কাউকে তিলমাত্র প্রশ্ৰয় দেয় না । * যদিদং কিঞ্চ জগং সর্বং প্রাণ এজতি নিঃস্থতং মহন্তয়ং বজ্ৰমুস্ততম্। এই ষা কিছু জগৎ সমস্তই প্রাণ হতে নিঃস্থত হয়ে প্রাণেই কম্পিত হচ্ছে—সেই ষে প্ৰাণ, ধার থেকে সমস্ত উদ্ভূত হয়েছে এবং যার মধ্যে সমস্তই চলছে তিনি কী রকম ? না, তিনি উদ্যত বজের মতো মহা ভয়ংকর। সেইজন্তেই তো সমস্ত চলছে—নইলে বিশ্বব্যবস্থা উন্মত্ত প্রলাপের মতো অতি নিদারুণ হয়ে উঠত। আমাদের পিতা ষে ভয়ানাং ভয়ং ভীষণং ভীষণানাং । এই ভয়ের দ্বারাই অনাদি কাল থেকে সর্বত্র সকলের সীমা ঠিক আছে, সর্বত্র সকলের পরিমাণ রক্ষা হচ্ছে । আমাদেরও যেদিকটা চলবার দিক, কী বাক্যে, কী ব্যবহারে সেই দিকে পিতা দাড়িয়ে আছেন—মহন্তয়ং বজ্ৰমুগুতং । সেদিকে কোনো ব্যত্যয় নেই কোনো স্থলনের ক্ষমা নেই, কোনো পাপের নিষ্কৃতি নেই । অতএব আমরা যখন বলি, পিতা নোহলি, তার মধ্যে আদরের দাৰি নেই, উন্মত্ততার প্রশ্রয় নেই । অত্যন্ত সংঘত আত্মসংবৃত বিনম্র নমস্কার অাছে। যে বলে পিতা নোহসি, সে তার সামনে শাস্তোদাস্ত উপরতস্তিতিক্ষু: সমাহিত:" হয়ে থাকে। সে নিজেকে প্রত্যেক ক্ষুদ্র অধৈৰ্ষ ক্ষুদ্র আত্মবিশ্বতি থেকে রক্ষা করে চলতে থাকে। २२ ६फ़ञ्ज