পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՅԿՏ9 ब्रदौटच-ब्रछनांवली অর্থাং ত্যাগের ও ভোগের সামঞ্জস্তেই পূর্ণ শক্তি। ত্যাগী শিব যখন একাকী সৰাখিময় তখনও স্বৰ্গরাজ্য অসহায়, আবার সতী যখন তার পিতৃভবনের ঐশ্বর্ধে একাকিনী আবদ্ধ তখনও দৈত্যের উপন্দ্রব প্রবল । প্রবৃত্তি প্রবল হয়ে উঠলেই ত্যাগের ও ভোগের সামঞ্জস্য ভেঙে যায়। কোনো একটি সংকীর্ণ জায়গায় যখন আমরা অহংকারকে বা বাসনাকে ঘনীভূত করি তখন আমরা সমগ্রের ক্ষতি করে অংশকে বড়ো করে তুলতে চেষ্টা করি। এর থেকে ঘটে অমঙ্গল । অংশের প্রতি আসক্তিবশত সমগ্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এই হচ্ছে পাপ । , R এই জন্তই ত্যাগের প্রয়োজন। এই ত্যাগ নিজেকে রিক্ত করার জন্যে নয়, নিজেকে পূর্ণ করবার জন্যেই। ত্যাগ মানে আংশিককে ত্যাগ সমগ্রের জন্ত, ক্ষণিককে ত্যাগ নিত্যের জন্ত, অহংকারকে ত্যাগ প্রেমের জন্য, স্থখকে ত্যাগ আনন্দের জন্ত । এই জন্তেই উপনিষদে বলা হয়েছে, ত্যক্তেন ভুঞ্জীথা:, ত্যাগের দ্বারা ভোগ করবে, আসক্তির দ্বারা নয়। . প্রথমে পার্বতী মদনের সাহায্যে শিবকে চেয়েছিলেন, সে চেষ্টা ব্যর্থ হল, অবশেষে ত্যাগের সাহাধ্যে তপস্তার দ্বারাতেই তাকে লাভ করলেন । কাম হচ্ছে কেবল অংশের প্রতিই আসক্ত, সমগ্রের প্রতি অন্ধ। কিন্তু শিব হচ্ছেন সকল দেশের সকল কালের, কামনা ত্যাগ না হলে তার সঙ্গে মিলন ঘটতেই পারে না । তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীথা, ত্যাগের দ্বারাই ভোগ করবে এইটি উপনিষদের অনুশাসন, এইটেই কুমারসম্ভব কাব্যের মর্মকথা, এবং এইটেই আমাদের তপোবনের সাধনা ৷ লাভ করবার জন্তে ত্যাগ করবে । Sacrifice or resignation, wrojin go of—to off into মাহাত্ম্য আমরা কোনো কোনো ধর্মশাস্ত্রে বিশেষভাবে বর্ণিত দেখেছি । জগতের স্থষ্টিকার্ষে উত্তাপ যেমন একটি প্রধান জিনিস, মাহুষের জীবনগঠনে দুঃখও তেমনি একটি খুব বড়ো রাসায়নিক শক্তি ; এর দ্বারা চিত্তের দুর্তেম্ভ কাঠিন্ত গলে যায় এবং অসাধ্য হৃদয়গ্রস্থির ছেদন হয় । অতএব সংসারে ৰিনি দুঃখকে দুঃখরূপেই নম্রভাবে স্বীকার করে নিতে পারেন তিনি যথার্থ তপস্বী বটেন । কিন্তু কেউ যেন মনে না করেন এই দুঃখস্বীকারকেই উপনিষৎ লক্ষ্য করছেন। ত্যাগকে দুঃখরূপে অঙ্গীকার করে নেওয়া নয়, ত্যাগকে ভোগরূপেই বরণ করে নেওয়া উপনিষদের জয়শাসন। উপনিষৎ ষে-ত্যাগের কথা বলছেন সেই ত্যাগই পূর্ণতর