পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>> Se রবীন্দ্র-রচনাবলী ষে-পথিক একদিন অজানা সমূদ্র উপকূলে কুড়ায়ে পেয়েছে চাবি ; বক্ষে নিয়ে তুলে শুনিতে পেয়েছে যেন অনাদি কালের কোন বাণী ; সেই হতে ফিরিতেছে বিরাম না জানি । অবশেষে মৌমাছির পরিচিত এ নিভৃত পথপ্রাস্তে এসে যাত্রা তার হবে অবসান ; খুলিবে সে গুপ্ত দ্বার কেহ যার পায় নি সন্ধান বুয়েনোস এয়ারিস ২৬ নভেম্বর, ১৯২৪ বৈতরণী ওগো বৈতরণী, তরল খড়েগর মতো ধারা তব, নাই তার ধ্বনি, নাই তার তরঙ্গভঙ্গিমা ; নাই রূপ, নাই স্পর্শ, ছন্দে তার নাই কোনো সীমা ; অমাবস্তা রজনীর স্বপ্তি স্থগম্ভীর মৌনী প্রহরের মতো নিরাকার পদচারে শূন্তে শূন্তে ধায় অবিরত । প্রাণের অরণ্যতট হতে দও পল খসে খসে পড়ে তব অন্ধকার স্রোতে । রূপের না থাকে চিহ্ন, নাহি থাকে বর্ণের বর্ণনা, বাণীর না থাকে এক কণা ৷ ওগো বৈতরণী, কতবার খেয়ার তরণী এসেছিল এই ঘাটে আমার এ বিশ্বের আলোতে । নিয়ে গেল কালহীন তোমার কালোতে