পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

898 রবীন্দ্র-রচনাবলী বড়ো লাগছে। এরা পৌরুষের পরীক্ষাশালায় বসে বিলিতি বই থেকে তার বুলি চুরি করে, কিন্তু কাগজের পরীক্ষা থেকে যখন হাতের পরীক্ষার সময় আসে তখন প্রতিপক্ষের অনেীদাৰ্থ নিয়ে মামলা তুলে বলে, “ওদের স্বভাব ভালো নয়, ওরা বাধা দেয়।” মানুষকে নারায়ণ সখা বলে তখনই সম্মান করেছেন যখন তাকে দেখিয়েছেন তার উগ্ররূপ, তাকে দিয়ে যখন বলিয়েছেন : দৃষ্টাদ্ভূতংরূপমুগ্রং তবেদং লোকত্ৰয়ং প্রব্যথিতং মহাত্মন— মানুষ যখন প্রাণমন দিয়ে স্তব করতে পেরেছে : অনন্তবীৰ্বামিতবিক্রমন্ত,ং সৰ্বং সমাপ্লোষি ততোইসি সর্ব: | তুমিই অনন্তবীর্য, তুমিই অমিতবিক্রম, তুমিই সমস্তকে গ্রহণ করে, তুমিই সমস্ত । ইতি ৩রা শ্রাবণ ১৩৩৪ ॥১ 8 কাল সকালেই পৌছব সিঙাপুরে । তার পর থেকে আমার ডাঙার পালা। এই-ষে চলছে আমার মনে মনে বকুনি, এটাতে খুবই বাধা হবে। অবকাশের অভাব হবে বলে নয়, মন এই কদিন যে-কক্ষে চলছিল সে-কক্ষ থেকে ভ্ৰষ্ট হবে বলে। কিসের জন্যে। সর্বসাধারণ বলে যে একটি মচুন্যসমষ্টি আছে তারই আকর্ষণে । লেখবার সময় তার কোনো আকর্ষণ যে একটুও মনের মধ্যে থাকবে না, তা হতেই পারে না। কিন্তু, তার নিকটের আকর্ষণটা লেখার পক্ষে বড়ো ব্যাঘাত। কাছে যখন সে থাকে তখন সে কেবলই ঠেলা দিয়ে দিয়ে দাবি করতে থাকে। দাবি করে তারই নিজের মনের কথাটাকে । প্রকাগু একটা বাইরের ফরমাশ কলমটাকে ভিতরে ভিতরে টান মারে। বলতে চাই বটে “তোমাকে গ্রাহ করি নে”, কিন্তু হেঁকে উঠে বলার মধ্যেই গ্রাহ করাটা প্রমাণ হয় । আসল কথা সাহিত্যের শ্রোতৃসভায় আজ সর্বসাধারণই রাজালনে। এ সত্যটাকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে লিখতে বসা অসম্ভব। প্রশ্ন উঠতে পারে উড়িয়ে দেবেই বা কেন। এমন সময় কবে ছিল যখন সাহিত্য সমস্ত মানবসাধারণের জন্তেই ছিল না। কথাটা একটু ভেবে-দেখবার। কালিদাসের মেঘদূত মানবসাধারণের জন্তেই লেখা, আজ তার প্রমাণ হয়ে গেছে। যদি কোনো বিশিষ্ট দলের জন্তে লেখা হত তা হলে সে দলও থাকত না আর মেঘদূতও যেত তারই সঙ্গে অহমরণে। কিন্তু, এখন

  • चैमठौ निर्वजकूबांग्रेौ भश्लांनशैलएक जिथिठ ।