পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83е •р ब्ररीौटण-ब्रछनांबलौ কথাটি এতই অত্যন্ত সহজ ষে হঠাৎ মনে হয় এ নিয়ে এত খোজাখুজি কেন, এত কান্নাকাটি কিসের জন্তে ? কিন্তু বরাবর মানুষের ইতিহাসে এই ঘটনাটি ঘটে এসেছে। মানুষের প্রবৃত্তি কিনা বাইরের দিকে ছোটবার জন্তে সহজেই প্রবণ, এই কারণে সেই কোকের মাথায় লে মূল কেন্দ্রের আকর্ষণ এড়িয়ে শেষে কোথায় গিয়ে পৌছোয় তার ঠিকানা পাওয়া যায় না। সে বাহিকতাকেই দিনে দিনে এমনি বৃহৎ ও জটিল করে দাড় করায় যে অবশেষে একদিন আসে, যখন য। তার আন্তরিক, বা তার স্বাভাবিক তাকেই খুজে বের করা তার পক্ষে সকলের চেয়ে কঠিন হয়ে ওঠে। এত কঠিন হয় যে তাকে সে আর খোজেই না, তার কথা সে ভুলেই যায়, তাকে আর সত্য বলে উপলব্ধিই করে না ; বাহিকতাকেই একমাত্র জিনিস বলে জানে, আর কিছুকে বিশ্বাসই করতে পারে না । মেলার দিনে ছোটো ছেলে মার হাত ধরে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু তার মন কিনা চারিদিকে এইজন্তে মুঠো কখন সে ছেড়ে দেয়, তার পর থেকেই ভিড়ের মধ্যে গোলমালের মধ্যে কেবলই সে বাইরে থেকে বাইরে দূরে থেকে দূরে চলে যেতে থাকে। ক্রমে মার কথা তার আর মনেই থাকে না, বাইরের যে-সমস্ত সামগ্ৰী লে দেখে সেইগুলিই তার সমস্ত হৃদয়কে অধিকার করে বড়ো হয়ে ওঠে । যে মা তার সব চেয়ে আপন, তিনিই তার কাছে সব চেয়ে ছায়াময় সব চেয়ে দূর হয়ে ওঠেন। শেষকালে এমন হয় যে অন্ত সমস্ত জিনিসের মধ্যেই সে আহত প্রতিহত হয়ে বেড়ায়, কেবল নিজের মাকে খুজে পাওয়াই সস্তানের পক্ষে সব চেয়ে কঠিন হয়ে ওঠে। আমাদের সেই দশা ঘটে । এমন সময়ে এক-একজন মহাপুরুষ জন্মান ধারা সেই অনেক দিনকার হারিয়ে যাওয়া স্বাভাবিকের জন্তে আপনি ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। বার জন্তে চারিদিকের কারও কিছুমাত্র দরদ নেই তারই জন্তে র্তাদের কান্না কোনোমতেই থামতে চায় না । তারা একমুহূর্তে বুঝতে পারেন আসল জিনিসটি অাছে অথচ কোথাও তাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। সেইটিই একমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস অথচ কেউ তার কোনো খোজ করছে না। জিজ্ঞাসা করলে, হয় হেসে উড়িয়ে দিচ্ছে, নয় ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে আঘাত করতে আসছে। r .." এমনি করে যেটি সহজ, যেটি স্বাভাবিক, যেটি সত্য যেটি না হলে নয়, পৃথিবীতে এক-একজন লোক আসেন সেটিকেই খুজে বের করতে। ঈশ্বরের এই এক লীলা, যেটি সব চেয়ে সহজ, তাকে তিনি শক্ত করে তুলতে দেন। যা নিতান্তই কাছের তাকে তিনি হারিয়ে ফেলতে দেন, পাছে সহজ বলেই তাকে না দেখতে পাওয়া যায়, পাছে