পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ويقالا যেন মুখরিয়া তোলে শিশুর কল্লোল। ইংরেজ কবির লেখা একমনে পড়িছে তরুণী, গুন্‌গুম্ রব তার পিছনে দাড়ায়ে আমি শুনি ; মৃদু বেদনায় ভাবি, যে-কবির বাণী পড়িছে বিরাম নাহি মানি, আমি কেন সে কবি না হই । এতদিন নানাভাবে কাব্যে যাহা কই আজি এ গিরির মতো কেন সে নির্বাক । অদূরে মাদার-শাখে ঘুঘু দেয় ডাক । আমার মর্মের ছন্দ পাখির ভাষায় অফুরান নৈরাশায় উছলিতে থাকে একতানে । আন-মননীর কানে কানে । আতপ্ত হতেছে দিন, শিশির শুকায়ে গেছে ঘাসে, অজানা ফুলের গুচ্ছ উচ্চ শাখে দুলিছে বাতাসে । ঢালুতটে তরুচ্ছায়াতলে ঝিলিমিলি শিহরন ঝরনার জলে । চূৰ্ণ কেশে নিত্য চঞ্চলতা, দুর্বাধ্য পড়িছে চোখে, অধ্যয়নরতা সরায়ে দিতেছে বারংবার বাহুক্ষেপে। ধৈর্য মোর রহিল না আর , চকিতে সম্মুখে আসি শুধালাম, “তুমি কি শোন নি মোর নাম।” মুখে তার সে কি অসন্তোষ, সে কি লজ্জা, সে কি রোষ, সে কি সমুদ্ধত অহংকার। . . উত্তর শোনার অপেক্ষ না করি আমি দ্রুত গেল্প চলি । ঘুঘুর কাকলি