পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

थाल्यौ & e Y স্থদর দ্বীপের চিরবসন্ত ও নিত্য উৎসবের ভিতরে ভিতরে অন্ধ বুদ্ধির মায়া সহস্ৰ বিভীষিকার স্বটি করেছে, যেমন সে ভারতবর্ষেও ঘরে ঘরে করে থাকে। এর ভয় ও নিরিত থেকে যে মোহমুক্ত জ্ঞানের বার মাছকে বাচায় যেখানে তার চর্গ নেই, তার প্রতি বিশ্বাস নেই, সেখানে মানুষের আত্মাবমাননা আত্মপীড়ন থেকে তাকে কে বাচাবে। তবুও এইগুলোকেই প্রধান করে দেখবার নয়। জ্যোতির্বিদের কাছে স্বর্ষের কলঙ্ক ঢাকা পড়ে না, তবু সাধারণ লোকের কাছে তার আলোটাই যথেষ্ট। স্বৰ্ষকে কলম্বী বললে মিথ্যা বলা হয় না, তবুও স্বৰ্ষকে জ্যোতির্ময় বললেই সত্য বলা হয়। তথ্যের ফর্ম লম্ব করা যে-সব বৈজ্ঞানিকের কাজ তারা পশুসংসারে হিংস্ৰ দাতনখের ভীষণতার উপর কলমের ঝোঁক দেবামাত্র কল্পনায় মনে হয়, পশুদের জীবনযাত্রা কেবল ভয়েরই বাহন। কিন্তু, এই-সব অত্যাচারের চেয়ে বড়ো হচ্ছে সেই প্রাণ যা আপনার সদাসক্রিয় উদ্যমে আপনাতেই আনন্দিত, এমন-কি, শ্বাপদের হাত থেকে আত্মরক্ষার কৌশল ও চেষ্টা সেও এই আনন্দিত প্রাণক্রিয়ারই অংশ। ইন্টার-ওসেন নামক ষে-মাসিকপত্রে একজন লেখকের বর্ণনা থেকে বালির মেয়েদের দুঃখের বৃত্তাস্ত পাওয়া গেল, সেই কাগজেই আর-একজন লেখক সেখানকার শিল্পকুশল উৎসববিলাসী সৌন্দর্যপ্রিয়তাকে আনন্দের সঙ্গে দেখেছেন। তার সেই দেখার আলোতে বোঝা যায়, গ্লানির কলঙ্কটা অসত্য না হলেও সত্যও নয়। এই দ্বীপে আমরা অনেক ঘুরেছি ; গ্রামে পথে বাজারে শস্তক্ষেত্রে মন্দিরবারে উৎসবভূমিতে ঝরনাতলায় বালির মেয়েদের অনেক দেখেছি ; সব জায়গাতেই তাদের দেখলুম স্থস্থ, স্বপরিপুষ্ট, সুবিনীত, স্বপ্রসন্ন— তাদের মধ্যে পীড়া অপমান অত্যাচারের কোনো চেহারা তো দেখলুম না। খুটিয়ে খবর নিলে নিশ্চয় কলঙ্কের কথা অনেক পাওয়া যাবে ; কিন্তু খুটিয়ে-পাওয়া ময়লা কথাগুলো স্বতো দিয়ে এক সঙ্গে গাখলেই সত্যকে স্পষ্ট করা হবে, এ কথা বিশ্বাস করবার নয়। ইতি মই সেপ্টেম্বর ১৯২৭ স্বরবায়া । জাভা ১ ১৩ 劇 স্বরকর্তা । জাভা কল্যাণীয়াস্থ § বেীমা, বালি থেকে পার হয়ে জাভা দ্বীপে স্বরবায়া শহরে এসে নামা গেল। এই জায়গাটা হচ্ছে বিদেশী সওদাগরদের প্রধান আখড়া। জাভার সব চেয়ে বড়ো উৎপন্ন

  • बैबूज जबिब्बळ्छ छजदउँएक जिथिठ