পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S९ রবীন্দ্র-রচনাবলী দিনাস্তের শূন্ততায় ধরার বিচিত্র চিত্রলেখ যখন প্রচ্ছন্ন হয়, বাধামুক্ত আকাশ যেমন নির্বাক্ বিস্ময়ে স্তব্ধ তারাদীপ্ত আত্মপরিচয়ে । শান্তিনিকেতন רסין • צ|< ~/ ని দেখিলাম— অবসন্ন চেতনার গোধূলিবেলায় দেহ মোর ভেসে যায় কালো কালিন্দীর স্রোত বাহি নিয়ে অনুভূতিপুঞ্জ, নিয়ে তার বিচিত্র বেদনা, চিত্র-করা আচ্ছাদনে অজন্মের স্মৃতির সঞ্চয়, নিয়ে তার বঁাশিখানি। দূর হতে দুরে যেতে যেতে মান হয়ে আসে তার রূপ, পরিচিত তীরে তীরে তরুচ্ছায়া-আলিঙ্গিত লোকালয়ে ক্ষীণ হয়ে আসে সন্ধ্যা-আরতির ধ্বনি, ঘরে ঘরে রুদ্ধ হয় দ্বার, ঢাকা পড়ে দীপশিখা, নৌকা বাধা পড়ে ঘাটে । দুই তটে ক্ষান্ত হল পারাপার, ঘনালো রজনী, বিহঙ্গের মৌনগান অরণ্যের শাখায় শাখায় মহানিঃশব্দের পায়ে রচি দিল আত্মবলি তার । এক কৃষ্ণ অরূপতা নামে বিশ্ববৈচিত্র্যের পরে স্থলে জলে । ছায়া হয়ে, বিন্দু হয়ে মিলে যায় দেহ অন্তহীন তমিস্রায় । নক্ষত্ৰবেদীর তলে অসি এক স্তব্ধ দাড়াইয়া, উর্ধের্ব চেয়ে কহি জোড় হাতে— হে পূৰ্ধন, সংহরণ করিয়াছ তব রশ্মিজাল, এবার প্রকাশ করে তোমার কল্যাণতম রূপ, দেখি তারে যে পুরুষ তোমার আমার মাঝে এক । শাস্তিনিকেতন Ե|Տ Հ|Հ Պ