পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রান্তিক У о মৃত্যুদূত এসেছিল হে প্রলয়ংকর, অকস্মাৎ তব সভা হতে। নিয়ে গেল বিরাট প্রাঙ্গণে তব ; চক্ষে দেখিলাম অন্ধকার ; দেখি নি অদৃশু আলো আঁধারের স্তরে স্তরে অস্তরে অন্তরে, যে আলোক নিখিল জ্যোতির জ্যোতি ; দৃষ্টি মোর ছিল আচ্ছাদিয়া আমার আপন ছায়া । সেই আলোকের সামগান মন্দ্রিয়া উঠিবে মোর সত্তার গভীর গুহা হতে স্বষ্টির-সীমাস্ত-জ্যোতির্লোকে, তারি লাগি ছিল মোর আমন্ত্রণ । লব আমি চরমের কবিত্বমর্যাদা জীবনের রঙ্গভূমে, এরি লাগি সেধেছিন্থ তান । বাজিল না রুদ্রবীণা নিঃশব্দ ভৈরব নবরাগে, জাগিল না মর্মতলে ভীষণের প্রসন্ন মুরতি, তাই ফিরাইয়া দিলে। আসিবে অারেক দিন যবে তখন কবির বাণী পরিপক্ক ফলের মতন নিঃশবে পড়িবে খসি আনন্দের পূর্ণতার ভারে আনস্তের অর্ঘ্যভালি-’পরে । চরিতার্থ হবে শেষে জীবনের শেষ মূল্য, শেষ যাত্রা, শেষ নিমন্ত্রণ। শান্তিনিকেতন ר ס\ן אי צן"ל SS কলরবমুখরিত খ্যাতির প্রাঙ্গণে যে আসন পাতা হয়েছিল কবে, সেথা হতে উঠে এসে কবি, পূজা সাঙ্গ করি দাও চাটুলুব্ধ জনতাদেবীরে বচনের অর্ঘ্য বিরচিয়া। দিনের সহস্র কণ্ঠ ক্ষীণ হয়ে এল ; যে প্রহরগুলি ধ্বনিপণ্যবাহী নোঙর ফেলেছে তারা সন্ধ্যার নির্জন ঘাটে এসে ।