পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশপ্রদীপ হাল আমলের ছাড়পত্রেহীন অকিঞ্চনটা লুকিয়ে কাটায় জোড়াতাড়ার দিন । ভাঙা দেয়াল ঢেকে একটা ছোড়া পর্দা টাঙাই ; ইচ্ছে করে, পৌষমাসের হাওয়ার তোড়টা ভাঙাই ; ঘুমোই যখন ফন্ড ফড়িয়ে বেড়ায় সেটা উড়ে, নিতাস্ত ভূতুড়ে । আাধপেট খাই শালুক-পোড়া ; একলা কঠিন ভুয়ে চেটাই পেতে শুয়ে ঘুম হারিয়ে ক্ষণে ক্ষণে আউড়ে চলি শুধু আপন-মনে—- “উড়কি ধানের মুড়কি দেব, বিল্পে ধানের খই, সরু ধানের চি ড়ে দেব, কাগমারে দই ।” আমার চেয়ে কম-ঘুমন্ত নিশাচরের দল খোজ নিয়ে যায় ঘরে এসে, হায় সে কী নিফল । কখনো বা হিসেৰ জুলে আসে মাতাল চোর, শূন্ত ঘরের পানে চেয়ে বলে, “সাঙাত মোর, আছে ঘরে ভদ্র ভাষায় বলে যাকে দাওয়াই ?” নেই কিছু তো, দু-এক ছিলিম তামাক সেজে খাওয়াই । একটু যখন আসে ঘুমের ঘোর স্বডকুড়ি দেয় আর স্থলারা পায়ের তলায় মোর । দুপুরবেলায় বেকার থাকি অন্তমনা ; গিরগিটি অীর কাঠবিড়ালির আনাগোন। সেই দালানের বাহির ঝোপে ; থামের মাথায় খোপে খোপে পায়রাগুলোর সারাটা দিন ৰকম-বকম । আঙিনাটার ভাঙা পাচিল, ফাটলে তার রকম-রকম লতাগুল্ম পড়ছে ঝুলে, হলদে সাদা বেগনি ফুলে আকাশ-পানে দিচ্ছে উকি । ছাতিমগাছের মরা শাখা পড়ছে ঝুকি