পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br\ు রবীন্দ্র-রচনাবলী বাংলাদেশে সৌভাগ্যক্রমে আমাদের একটা মিলনের ক্ষেত্র আছে। সে আমাদের ভাষা ও সাহিত্য। এইখানে আমাদের আদানে প্রদানে জাতিভেদের কোনো ভাৰন নাই। সাহিত্যে যদি সাম্প্রদায়িকতা ও জাতিভেদ থাকিত তবে গ্রীকৃসাহিত্যে গ্রীকৃদেবতার লীলার কথা পড়িতে গেলেও আমাদের ধর্মহানি হইতে পারিত। মধুস্থদন দত্ত খৃস্টান ছিলেন। তিনি শ্বেতভূজা ভারতীর যে-বন্দনা করিয়াছেন সে সাহিত্যিক-বন্দনা, তাহাতে কবির ঐহিক পারত্রিক কোনো লোকসালের কারণ ঘটে নাই। একদা নিষ্ঠাবান হিন্দুরাও মুসলমান আমলে আরবি ফারসি ভাষায় পণ্ডিত ছিলেন ; তাহাতে তাহাজের ফোট ক্ষীণ বা টিকি খাটো হইয়া যায় নাই। সাহিত্য পুরীর জগন্নাথক্ষেত্রের মতো, সেখানকার ভোজে কাহারও জাতি নষ্ট হয় না । অতএব, সাহিত্যে বাংলাদেশে যে একটি বিপুল মিলনযজ্ঞের আয়োজন হইয়াছে, যাহার বেদী অামাদের চিত্তের মধ্যে, সত্যের উপরে ভাবের উপরে যাহার প্রতিষ্ঠা, সেখানেও হিন্দু-মুসলমানকে যাহারা কৃত্রিম বেড়া তুলিয়া পৃথক করিয়া রাখিবার চেষ্টা করিতেছেন তাহারা মুসলমানেরও বন্ধু নহেন। छ्हे প্রতিবেশীর মধ্যে একটা স্বাভাবিক আত্মীয়তার যোগস্থত্রকেও র্যাহার ছেদন করিতে চাহেন তাহাজের অন্তর্ষামীই জানেন, র্তাহারা ধর্মের নামে দেশের মধ্যে অধৰ্মকে আহবান করিবার পথ খনন করিতেছেন । কিন্তু, আশা করিতেছি, তাহাদের চেষ্টা ব্যর্থ হইবে। কারণ, প্রথমেই বলিয়াছি, বাংলাদেশের সাধনা একটি সত্যবন্ত পাইয়াছে ; সেটি তাহার সাহিত্য । এই সাহিত্যের প্রতি আস্তরিক মমত্ববোধ না হওয়াই হিন্দু বা মুসলমানের পক্ষে অসংগত। কোনো অস্বাভাবিক কারণে ব্যক্তিবিশেষের পক্ষে তাহা সম্ভবপর হইতেও পারে, কিন্তু সর্ব সাধারণের সহজ বুদ্ধি কখনোই ইহাদের আক্রমণে পরাভূত হইবে না। )\ర్సిరిరి কবির অভিভাষণ এই পরিষদে’ কবির অভ্যর্থনা পূর্বেই হয়ে গেছে। সেই কৰি বৈদেহিক ; সে বাণীমূর্তিতে ভাবরূপে সম্পূর্ণ। দেহের মধ্যে তার প্রকাশ সংকীর্ণ এবং নানা অপ্রাসঙ্গিক উপাদানের সঙ্গে মিশ্রিত । আমার বন্ধু" এইমাত্র যমের সঙ্গে কবির তুলনা করে বলেছেন, যমরাজ জার ১ প্রেসিডেন্সি কলেজের রবীন্দ্র-পরিষদ ২ ঐস্বরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত ।