পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় II ව් কাপ্তেনকে খবর দেবার কথা মনেই আনতে পারে না ; তার দাবি আপনিই হাটে যাবার ডিঙি বা ডোঙার তলব করে । —প্রবাসী, ১৩৩৪ অগ্রহায়ণ, পৃ ২১৫ ब्रध्नांबजौ शृ s*४, वर्छ इ८ब ‘यथार्थ cष बीब्र' हैठाiभिद्र शूर्व তাদের মধ্যে মোহিতলাল সাধারণের কাছে ইতিমধ্যেই খ্যাতিলাভ করেছেন । এই খ্যাতির কারণ তার কাব্যের অকৃত্রিম পৌরুষ । অকৃত্রিম বলছি এইজন্তে, তার লেখায় তাল-ঠোকা পায়তাড়ী-মারা পালোয়ানি নেই । —প্রবাসী, ১৩৩৪ অগ্রহায়ণ, পৃ ২১৭ রচনাবলী পৃ ৪১২, চতুর্থ ছত্রের পর স্বতন্ত্র অমুচ্ছেদ শৈলজানন্দের গল্প আমি কিছু কিছু পড়েছি। দেখেছি, দরিদ্র-জীবনের স্বথার্থ অভিজ্ঞতা এবং সেই সঙ্গে লেখবার শক্তি তার আছে ৰ'লেই তার রচনায় দারিদ্র্যঘোষণার কৃত্রিমতা নেই । তার বিষয়গুলি সাহিত্যসভার মর্যাদ। অতিক্রম ক’রে নকল দারিদ্র্যের শখের ধাত্রার পালায় এসে ঠেকে নি। নবযুগের সাহিত্যে নতুন একটা কাও করছি” জানিয়ে পদভরে ধরণী কম্পমান করবার দাপট আমি তার দেখি নি— দরিদ্রনারায়ণের পূজারির মস্ত একটা তিলক তার কপালে কাটা নেই। তার কলমে গ্রামের যে-সব চিত্র দেখেছি তাতে তিনি সহজে ঠিক কথাটি বলেছেন ব’লেই ঠিক কথা বলবার কারি-পাউডারি ভঙ্গীট তার মধ্যে দেখা দেয় নি । —প্রবাসী, ১৩৩৪ অগ্রহায়ণ, পৃ ২১৭ পূর্বদ্বীপপুঞ্জ হইতে দেশে ফিরিয়া ১০ অগ্রহায়ণ ১৩৩৪ তারিখে ঐদিলীপকুমার রায়কে রবীন্দ্রনাথ একটি পত্র লেখেন ; প্রাসঙ্গি কবোধে উহার শেষাংশ নিম্নে সংকলিত হইল— . ‘সাহিত্যধর্ম’ ব’লে একটা প্রবন্ধ লিখেছি । তার কর্মফল চলছে । তার ভোগ ফুরোতে না ফুরোতেই ‘সাহিত্যে নবত্ব’ ব’লে আরও একটা লেখা হয়েছে। তোমার সঙ্গে বাক্যালোচনাতেও সাহিত্যতত্ত্বচর্চা কিছু পরিমাণে আছে— এতে ক’রে ষে একটা আলোড়ন জাগিয়েছে তাতে ক্ষতি নেই। কেননা, পূর্বেই বলেছি, সাহিত্যলোকে চাঞ্চল্যটার খুব প্রয়োজন আছে । সিদ্ধান্তে পৌছনোটা খুব বেশি দরকারি নয়— দেখতেই পাচ্ছি, এক যুগের সিদ্ধাস্ত আর-এক যুগে উলট-পালট হয়ে ৰায়, কেবল মনের মধ্যে নিয়তচিন্তার চাঞ্চল্যটাই থাকে। মামুষের মন শেষ কথায় যখন এসে C))