পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ २*> "মাসি, তুমি আমাকে দুর্বল মনে কর – আমাকে দুঃখ থেকে বাচাতে চাও?” "বাছা, আমার যে মেয়ে মানুষের মন, আমিই দুর্বল— সেইজন্তেই আমি বড়ো ভয়ে ভয়ে তোকে সকল দুঃখ থেকে চিরদিন বঁাচাতে চেয়েছি। কিন্তু, আমার সাধ্য কী আছে । কিছুই করতে পারি নি।” “মালি, এ জীবনের শিক্ষ। আমি এ জীবনে খাটাবার সময় পেলুম না। কিন্তু, এ সমস্তই জমা রইল, আসছে বারে মামুব ধে কী পারে তা আমি দেখাব । চিরটা দিন নিজের দিকে তাকিয়ে থাকা যে কী ফাকি, তা আমি বুঝেছি।” “ষাই বল, বাছা, তুমি নিজে কিছু নাও নি, পরকেই সব দিয়েছ।” “মাসি, একটা গৰ্ব আমি করব, আমি মুখের উপরে জবরদস্তি করি নি— কোনোদিন এ কথা বলি নি, যেখানে আমার দাবি আছে সেখানে আমি জোর থাটাব । যা পাই নি ত কাড়াকড়ি করি নি। আমি সেই জিনিস চেয়েছিলুম যার উপরে কারও স্বত্ব নেই— সমস্ত জীবন হাতজোড় ক’রে অপেক্ষাই করলুম ; মিথ্যাকে চাই নি ব’লেই এতদিন এমন ক'রে বসে থাকতে হল— এইবার সভ্য হয় তো দয়া করবেন। ও কে ও— মালি, ও কে ৷”

  • কই, কেউ তো না, যতীন।” ■

“মালি, তুমি একবার ও ঘরটা দেখে এসো গে, আমি ষেন—” “ন, বাছ, কাউকে তো দেখলুম না।”

  • আমি কিন্তু স্পষ্ট ষেন—*

“কিছু না যতীন— ঐ যে ডাক্তারবাবু এসেছেন ।”

  • দেখুন, আপনি ওঁর কাছে থাকলে উনি বড়ে বেশি কথা কন । কয়রাত্রি এমনি ক’রে তো জেগেই কাটালেন । আপনি শুতে যান, আমার সেই লোকটি এখানে

থাকবে ।” “ন, মাগি, ন তুমি যেতে পাবে না।”

  • আচ্ছা, বাছ, আমি নাহয় ঐ কোণটাতে গিয়ে বসছি।”

“ন, না, তুমি আমার পাশেই বসে থাকো— আমি তোমার এ হাত কিছুতেই ছাড়ছি নে— শেষ পর্যন্ত না । আমি যে তোমারই হাতের মামুষ, তোমারই হাত থেকে ভগবান আমাকে নেবেন ।”

  • আচ্ছা বেশ, কিন্তু আপনি কথা কবেন না, যতীনবাৰু। সেই ওষুধটা খাওয়াবার जषश्च इष्ण-*