পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 6 O2 ফলের প্রত্যাশায় বলে থাকেন। আজ বাদলগন্ধ্যায় হাজরে দেওয়া তিনি কাজে লাগিয়েছেন তার প্রমাণ দিই •• —কবিতা, ১৩৪৭, চৈত্র, পূ ১ আকাশপ্রদীপ ‘আকাশপ্ৰদীপ’ ১৩৪৬ সালের বৈশাখ মাসে প্রকাশিত হয়। প্রথম সংস্করণের আখ্যাপত্রে মুদ্রণপ্রমাদের ফলে প্রকাশকাল ‘১৩৪৫ ছাপা হইয়াছিল। রবীন্দ্রসদনে রক্ষিত পাণ্ডুলিপি প্রভৃতির সাহায্যে কয়েকটি কবিতায় রচনার কাল ও স্থান সংযোজিত, এবং প্রয়োজনবোধে সংশোধিত হইয়াছে ; 'বেজি’ কবিতা দ্রষ্টব্য । ১৩৪৭ সালের গ্রীষ্মে আলমোড়ায় অবস্থানকালে রচিত ‘যাত্রাপথ’ কবিতাটি বাদে ‘আকাশপ্ৰদীপ’এর অন্যাঙ্ক প্রায় সমস্ত কবিতা ১৩৪৫ সালের আশ্বিন হইতে চৈত্র পর্যন্ত সাত মাস কালের মধ্যে শাস্তিনিকেতনে রচিত । অধিকাংশ কবিতাই সাময়িক পত্রে প্রথম প্রচারিত না হইয়া একেবারে গ্রন্থমধ্যে সন্নিবিষ্ট হয় । চারটিমাত্র কবিতার পত্রিকায় প্রকাশের সূচী নিম্নে দেওয়া হইল— खोंन-अखांन প্রবাসী ১৩৪৫ কাতিক পাখির ভোজ প্রবাসী ১৩৪৫ ফাঙ্কন সময়হারা প্রবাসী ७७8¢ प्रांघ ‘ঢাকিরা ঢাক বাজায় খালে বিলে’ প্রবাসী ১৩৪৬ বৈশাখ ‘মাত্রাপথ’, ‘স্কুল-পালানে', 'ধ্বনি', 'বন্ধু', 'জল', ‘খাম’, ‘কাচা আম— এই কয়টি কবিতা প্রসঙ্গে ‘জীবনস্মৃতি'র আরম্ভের কয়েক পরিচ্ছেদ ( রবীন্দ্র-রচনাবলী, সপ্তদশ খও দ্রষ্টবা ) ও 'ছেলেবেলা’ গ্রন্থটির কোনো কোনো অংশ বিশেষভাবে তুলনীয়। বধূ কবিতার প্রথম ছত্রটির পূর্ববর্তী কোনে-এক পাঠে পাণ্ডুলিপিতে ঠাকুরমা স্থলে "মুখুজে পাওয়া যায়। ‘জীবনস্থতিতে উল্লিখিত থাজাঞ্চি কৈলাস মুখুজ্যের ছড়া বলার বিবরণটুকু এই প্রসঙ্গে প্রণিধানযোগ্য— সেই কৈলাস মুখুজ্যে আমার শিশুকালে অতি ক্ৰত বেগে মন্ত একটা ছড়ার মতো বলিয়া আমার মনোরঞ্জন করিত। সেই ছড়াটার প্রধান নায়ক ছিলাম আমি এবং তাহার মধ্যে একটি ভাৰী নায়িকার নিঃসংশয় সমাগমের আশা আতিশয় উজ্জলভাবে বর্ণিত ছিল। এই-ষে ভুবনমোহিনী বধুটি ভবিতব্যতার কোল আলো করিয়া বিরাজ করিতেছিল, ছড়া শুনিতে শুনিতে তাহার চিত্রটিতে মন ভারি উংস্থক হইয়া উঠিত।