পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যেৰ পথে ●令@ প্রাচীর-ঘেরা প্রাঙ্গণের বাইরে এসে দাড়াতে পেরেছিল । এই মুক্তি সনাতন রীতির অহুকুল না হতে পারে কিন্তু সে যে চিরন্তন মানবপ্রকৃতির অমুকুল, দেখতে দেখতে তার প্রমাণ পড়ল ছড়িয়ে । এমন সময়ে বঙ্গদর্শন মাসিকপত্র দেখা দিল । তখন থেকে বাঙালির চিত্তে নব্য বাংলাসাহিত্যের অধিকার দেখতে দেখতে অবারিত হল সর্বত্র। ইংরেজিভাষায় যারা প্রবীণ তারাও একে সবিস্ময়ে স্বীকার করে নিলেন । নব্যসাহিত্যের হাওয়ায় তখনকার তরুণী পাঠিকাদের মনঃপ্রকৃতির যে পরিবর্তন হতে আরম্ভ হয়েছিল, সে কথা নিঃসন্দেহ । তরুণীরা সবাই রোমাটিক হয়ে উঠছে, এইটেই তখনকার দিনের ব্যঙ্গরসিকদের প্রহসনের বিষয় হয়ে উঠল। কথাটা সত্য । ক্লালিকের অর্থাৎ চিরাগত রীতির বাইরেই রোমান্টিকের লীলা। রোমাটিকে মুক্ত ক্ষেত্রে হৃদয়ের বিহার । সেখানে অনভ্যস্ত পথে ভাবাবেগের আতিশধ্য ঘটতে পারে। তাতে করে পূর্ববর্তী বাধা নিয়মামুবর্তনের তুলনায় বিপজ্জনক এমন-কি হাস্তজনক হয়ে উঠবার আশঙ্কা থাকে। দাড় থেকে ছাড়া পাওয়া কল্পনার পায়ে শিকল বাধা না থাকাতে ক্ষণে ক্ষণে হয়তো সে ঝাপিয়ে পড়ে অশোভনতায় । কিন্তু, বড়ো পরিপ্রেক্ষণিকায় ছড়িয়ে দেখলে দেখা যায়, অভিজ্ঞতার বিচিত্র শিক্ষার মুক্তি মোটের উপরে সকলপ্রকার স্বলনকে অতিকৃতিকে সংশোধন করে চলে । ঘাই হোক, আধুনিক বাংলাসাহিত্যের গতিবেগ বাংলার ছেলেমেয়েকে কোন পথে নিয়ে চলেছে, এ সভায় তার আলোচনার উপলক্ষ্য নেই। এই সভাতেই বাংলাসাহিত্যের বিশেষ সফলতার যে প্রমাণ স্পষ্ট হয়েছে, সভার কার্ষারম্ভের পূর্বে সূত্ৰধাররূপে আজ তারই কথা জানিয়ে দেওয়া আমার কর্তব্য বলে মনে করি । এমন একদিন ছিল যখন বাংলাপ্রদেশের বাইরে বাঙালি-পরিবার দুই-এক পুরুষ ধাপন করতে করতেই বাংলাভাষা ভুলে যেত। ভাষার যোগই অস্তরের নাড়ীর যোগ— সেই যোগ একেবারে বিচ্ছিন্ন হলেই মাহুষের পরম্পরাগত বুদ্ধিশক্তি ও হৃদয়বৃত্তির সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়। বাঙালিচিত্তের যে-বিশেষত্ব মানৰসংসারে নিঃসন্দেহ তার একটা বিশেষ মূল্য আছে। যেখানেই তাকে হারাই সেখানেই সমস্ত বাঙালিজাতির পক্ষে বড়ো ক্ষতির কারণ ঘটা সম্ভব। নদীর शारब cष-खवि चां८छ् ठांद्र भाठि८ड यनि बैंiशन न थोरक उरब ड किडू किडू করে ধ্বসে পড়ে। ফসলের অাশা হারাতে থাকে। যদি কোনো মহাবুক্ষ সেই माछिद्र आउँौद्र अरूtब मूत्वशांनी निकङ्ग इफ़िरब क्रिब डॉटक औd षटब्र डा इरण স্রোতের আঘাত থেকে সে ক্ষেত্র রক্ষা পায়। বাংলাদেশের চিত্তক্ষেত্রকে তেমনি