পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२२ রবীন্দ্র-রচনাবলী সমস্ত নীল আকাশে, কাচা-অাম-ঝোলা গাছের পাতায় পাতায়, তেঁতুলগাছের গুঞ্চনমূখর মৌচাকে । ভাবলুম, মাহেন্দজারোতে এইরকম চৈত্রশেষের অকেজো সকালে কবি লিখেছিল কবিতা, বিশ্ব প্রকৃতি তার কোনোই হিসাব রাখে নি । কিন্তু, ময়ুর আজও আছে প্রাণের দেনাপাওনায়, কাচা আমি ঝুলে পড়েছে ভালে । নীল আকাশ থেকে শুরু করে সবুজ পৃথিবী পর্বস্তু কোথা ও ওদের দাম যাবে না কমে । আর, মাহেন্দজারোর কবিকে গ্রাহাই করলে না পথের ধারের তৃণ, আঁধার রাত্রের জোনাকি । নিরবধি কাল আর বিপুল পুথিবীতে মেলে দিলাম চেতনাকে, টেনে নিলেম প্রকৃতির ধ্যান থেকে বৃহৎ বৈরাগ্য আপন মনে ; খাতার অক্ষরগুলোকে দেখলুম মহাকালের দেয়ালিতে পোকার বfাকের মতো । ভাবলুম, আজ যদি ছিড়ে ফেলি পাতাগুলো তাহলে পশু দিনের অস্ত্যসৎকার এগিয়ে রাখব মাত্র । এমনসময় আওয়াজ এল কানে, “দাদামশায়, কিছু লিখেছ না কি ৷” ঐ এসেছে— ময়ূর না, ঘরে যার নাম স্থনয়নী, আমি যাকে ডাকি শুনায়নী ব’লে । ওকে আমার কবিতা শোনাৰঙ্গর দাবি সকলের অাগে ।