পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●ミ・ রবীন্দ্র-রচনাবলী স্বাক্টর উপকরণ জোগানো এ-পর্যন্ত আমার কাজ ছিল। যুরোপের যুগান্তর-ঘোষণার প্রতিধ্বনি ক’রে কেউ কেউ বলছেন, আমাদের সেই যুগেরও অবসান হয়েছে। কথাটা খাটি না হতেও পারে। যুগান্তরের আরম্ভে প্রদোষান্ধকারে তাকে নিশ্চিত করে চিনতে বিলম্ব ঘটে। কিন্তু, সংবাদটা যদি সত্যই হয় তবে এই যুগসন্ধ্যার ধারা অগ্রদূত তাদের ঘোষণাৰাণীতে শুকতারার স্বরম্য দীপ্তি ও প্রত্যুষের স্বনির্মল শাস্তি আস্থক ; নবযুগের প্রতিভা আপন পরিপূর্ণতার দ্বারাই আপনাকে সার্থক করুক, বাকচাতুর্ষের দ্বারা নয়। রাত্রির চক্সকে যখন বিদায় করবার সময় আসে তখন কুয়াশার কলুষ দিয়ে তাকে অপমানিত করবার প্রয়োজন হয় না, নৰপ্ৰভাতের সহজ মহিমার শক্তিতেই তার অস্তধর্ণন ঘটে। পথে চলতে চলতে মর্তলীলার প্রাম্ভবতী ক্লাস্ত পথিকের এই নিবেদনপত্র সসংকোচে তরুণসভায়’ প্রেরণ করলেম । এই কালের যারা অগ্রণী তাদের কৃতার্থতা একান্তমনে কামনা করি । নবজীবনের অমৃতপাত্র যদি সত্যই তারা পূর্ণ ক’রে এনে থাকেন, আমাদের কালের ভাও আমাদের দুর্ভাগ্যক্রমে যদি রিক্ত হয়েই থাকে, আমাদের দিনের ছন্দ যদি এখনকার দিনের সঙ্গে নাই মেলে, তবে তার যাথার্থ্য নূতন কাল সহজেই প্রমাণ করবেন— কোনো হিংস্রনীতির প্রয়োজন হবে না। নিজের আয়ুদৈর্ঘ্যের অপরাধের জন্ত আমি দায়ী নই ; তৰে সান্থনার কথা এই যে, সমাপ্তির জন্ত বিলুপ্তি অনাবশুৰ । সাহিত্যে পঞ্চাশোধৰ্ম নিজের তিরোধানের বন নিজেই স্বষ্টি করে, তাকে কৰ্কশঙ্কণ্ঠে তাড়না করে বনে পাঠাতে হয় না । অবশেষে যাবার সময় বেদমন্ত্রে এই প্রার্থনাই করি— বঙ্গ ভদ্রং তন্ন জাম্বব : বাহা ভদ্র তাহাই আমাদের প্রেরণ করে । \రి\రిట్ర বাংলাসাহিত্যের ক্রমবিকাশ একদিন কলিকাতা ছিল অখ্যাত অসংস্কৃত পল্পী ; সেখানে বসল বিদেশী বাণিজ্যের হাট, গ্রামের শু্যামল আবেষ্টন সরিয়ে দিয়ে শহরের উদ্ধত রূপ প্রকাশ পেতে লাগল। সেই শহর আধুনিক কালকে দিল আসন পেতে ; বাণিজ্য এবং রাষ্ট্রের পথে দিগন্ডের পর দিগন্তে সেই আসন বিস্তৃত হয়ে চলল । এই উপলক্ষ্যে বর্তমান যুগের ৰেগমান চিত্তের সংস্রব ঘটল বাংলাদেশে। বর্তমান