পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6 & 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী পৌছয় তখন নীরবতার সমুদ্র । সেখানে তার কথার কারবার বদ্ধ করতে মানুষের আপত্তি আছে ; কেননা, মনটা নাড়া না পেলে একেবারে সে বেকার । এইজন্তে বারে বারে সত্য সিদ্ধাস্তকেও মাস্থ্য তার সংশয়ের খোচা মেরে বিপর্যন্ত ক’রে তোলে— যুগে যুগে তাই চলছে । আমরা সত্যকে পেতে চাই শুধু কেবল পাওয়ার জন্তে নয়, চাওয়ার জন্তেও । এই কারণে আমাদের ভালোবালার মধ্যে ঝগড়ার স্থানটা খুব বড়ে ; হারানোটা পাওয়ার প্রধান বন্ধু— কেননা, ফিরে ফিরে না পেতে থাকলে সম্পূর্ণ পাওয়া হয় না। অতএব, সাহিত্যতত্ত্ব নিয়ে সাবেক কালের সঙ্গে হাল আমলের যে ঝগড়া চলছে তার মূলে মানুষের এই স্বভাৰটাই কাজ করছে, যাকে আশ্রয় করে তাকে সে আঘাত ক'রে সন্দেহ করে – তার পরে আবার দ্বিগুণ জোরের সঙ্গে তার কাছে ফিরে আসে । —অনামী, পত্রগুচ্ছ, পৃ ৩৪৩ ‘সাহিত্যবিচার' প্রবন্ধটি কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে রবীন্দ্রপরিষৎ-সভায় প্রদত্ত মৌখিক ভাষণের কবির স্বকৃত স্বতিলেখন । প্রবন্ধটির বঞ্জিত আরম্ভভাগ প্রবাসী’ হইতে সংকলিত হইল— রবীন্দ্রপরিষং সভায় ‘সাহিত্যবিচার’ সম্বন্ধে যে আলোচনা করেছি, সেইটি লিখে দেবার জন্তে আমার পরে অনুরোধ আছে । মূখে-বলা কথা লিখে বলায় নূতন আকার ধারণ করে । তা ছাড়া আমার মতো অসাধারণ বিশ্বতি-শক্তিশালী লোক এক দিনের কথিত বাণীকে অন্ত দিনে যথাযথক্সপে অস্থলেখনে অক্ষম । অতএব সেদিনকার বাক্যের ইতিহাস অনুধাবনের বৃথা চেষ্ট ন ক’রে বক্তব্য বিষয়টার প্রতিই লক্ষ্য করব । প্রথমে বলে রাখি, যাকে সাধারণত আমরা সাহিত্য-সমালোচনা বলি সাহিত্যবিচার শব্দটাকে আমি সেই অর্থে ব্যবহার করেছি। আলোচনা অর্থে বুঝি পরিক্রম, বিষয়টির উপর পায়চারি করে বেড়ানো ; আর বিচারটি হল পরিচয় – তাকে যাচাই করা। বিশেষ রচনার পরিচয় দেওয়াই সাহিত্যবিচারের লক্ষ্য । কিন্তু, পরিচয় তো অনেকরকম আছে। আমরা প্রায়ই ভুল করি, এক পরিচয়ের জায়গায় জার-এক পরিচয় দাখিল করি, যেখানে এক গ্লাস জল আনা আবগুক সেখানে তাড়াতাড়ি এনে দিই আধখানা বেল’ । জলের চেয়ে বেলে ভার অাছে, সায় আছে, সেই কারণে বাজারে তার দামও বেশি, কিন্তু যে তুষার্ত মানুষ জল চায় সে মাথায় হাত দিয়ে পড়ে। नाश्ठिाविकारब "बिठब्रछेि नाशिठिाक *विक्रव्र हeब ठाँहे, ७ कथा वलाहे वाहना ।