পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী দেখেছিল কিছুকাল অরণ্যশাখার বাহুজালে, ঢেকেছিল কিছুকাল কুয়াশা-অঞ্চল-অন্তরালে বনপুপ-বিকশিত তৃণঘন শিশির-উজ্জ্বল পরীদের খেলার প্রাঙ্গণে দ্বীপের নিকুঞ্জতল তখনো ওঠে নি জেগে কবিসুর্য-বন্দনাসংগীতে তার পরে ধীরে ধীরে অনন্তের নি:শব্দ ইঙ্গিতে দিগন্তের কোল ছাড়ি শতাব্দীর প্রহরে প্রহরে উঠিয়াছ দীপ্তজ্যোতি মধ্যাহ্নের গগনের পরে ; নিয়েছ আসন তব সকল দিকের কেন্দ্রদেশে বিশ্বচিত্ত উদ্ভাসিয়া ; তাই হেরে যুগান্তর-শেষে ভারতসমুদ্রতীরে কম্পমান শাখাপুঞ্জে আজি নারিকেলকুঞ্জবনে জয়ধ্বনি উঠিতেছে বাজি । ১৩ অগ্রহায়ণ ১৩২২ শিলাইদহ 8 o এইক্ষণে মোর হৃদয়ের প্রাস্তে আমার নয়ন-বাতায়নে যে-তুমি রয়েছ চেয়ে প্রভাত-আলোতে সে-তোমার দৃষ্টি যেন নানা দিন নানা রাত্রি হতে রহিয়া রহিয়৷ চিত্তে মোর আনিছে বহিয়া নীলিমার অপার সংগীত, নিঃশব্দের উদার ইঙ্গিত। আজি মনে হয় বারে বারে যেন মোর স্মরণের দূর পরপারে দেখিয়াছ কত দেখা কত যুগে, কত লোকে, কত চোখে, কত জনতায়, কত একা ।