পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি নিরেট অশ্রুবিন্দু দিয়ে— দুর্লভ, মূল্যহীন।” কথা বলবার কী অসামান্ত ভঙ্গি । সেই সঙ্গে নরেশ লিখেছে, ‘কথাগুলি যদি বানানো হয় দোষ কী, কিন্তু চমৎকার— হীরে-বসা নে সোনার ফুল কি সত্য, তবুও কি সত্য নয় । বুঝতেই পারছ, একটা তুলনার সংকেত ওর চিঠিতে অদৃশু কাটার মতে আমার বুকের কাছে বিধিয়ে দিয়ে জানায়— আমি অত্যন্ত সাধারণ মেয়ে । মূল্যবানকে পুরো মূল্য চুকিয়ে দিই এমন ধন নেই আমার হাতে । ওগো, নাহয় তাই হল, নাহয় ঋণীই রইলেম চিরজীবন। পায়ে পড়ি তোমার, একটা গল্প লেখো তুমি শরংবাবু, নিতান্তই সাধারণ মেয়ের গল্প— যে দুর্ভাগিনীকে দূরের থেকে পাল্লা দিতে হয় অন্তত পাচ-সাতজন অসামান্তার সঙ্গে— অর্থাৎ, সপ্তরথিনীর মার। বুঝে নিয়েছি আমার কপাল ভেঙেছে, হার হয়েছে আমার । কিন্তু তুমি যার কথা লিখবে তাকে জিতিয়ে দিয়ে আমার হয়ে, পড়তে পড়তে বুক যেন ওঠে ফুলে ফুলচন্দন পডুক তোমার কলমের মুখে । তাকে নাম দিয়ে মালতী । ঐ নামটা আমার । وی اول ۵