পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশের মাটি হলে জঙ্গল হয়ে উঠত। ইদারা থেকে পূর চলছে নিস্তব্ধ মধ্যাহ্নে কলকল শব্দে । গোলকচাপার ঘনপল্লব থেকে কোকিলের ডাক আসত রৌদ্রতপ্ত প্রহরের ক্লান্ত হাওয়ায়। পশ্চিম কোণে প্রাচীন একটা মহানিমগাছ, তার বিস্তীর্ণ ছায়াতলে বসবার জায়গা । সাদা ধুলোর রাস্ত চলেছে বাড়ির গা ঘেঁষে দূরে দেখা যায় খোলার চালওয়াল *ल्लौ । গাজিপুর আগ্রা-দিল্লির সমকক্ষ নয়, সিরাজ-সমরখন্দের সঙ্গেও এর छूलना श्ध्न नां, ङबू भन निभः श्ल अक्रू8 श्रदकांट*ब्र भ८था । श्रांभांब्र গানে আমি বলেছি, আমি সুদূরের পিয়াসী। পরিচিত সংসার থেকে এখানে আমি সেই দূরত্বের দ্বারা বেষ্টিত হলুম, অভ্যাসের স্থলহস্তাবলেপ দূর হবামাত্র মুক্তি এল মনোরাজ্যে। এই আবহাওয়ায় আমার কাব্যরচনার একটা নতুন পর্ব আপনি প্রকাশ পেল । আমার কল্পনার উপর নূতন পরিবেষ্টনের প্রভাব বারবার দেখেছি । এইজন্তেই আলমোড়ায় যখন ছিলুম আমার লেখনী হঠাৎ নতুন পথ নিল শিশুর কবিতায়, অথচ সে-জাতীয় কবিতার কোনো প্রেরণা কোনো উপলক্ষ্যই সেখানে ছিল না। পূর্বতন রচনাধারা থেকে স্বতন্ত্র এ একটা নূতন কাব্যরূপের প্রকাশ । মানসীও সেই রকম । নূতন আবেষ্টনে এই কবিতাগুলি সহসা যেন নৰদেহ ধারণ করল। পূর্ববর্তী কড়ি ও কোমলএর সঙ্গে এর বিশেষ মিল পাওয়া যাবে না। আমার রচনার এই পর্বেই যুক্ত অক্ষরকে পূর্ণ মূল্য দিয়ে ছন্দকে নূতন শক্তি দিতে পেরেছি। মানসীতেই ছন্দের নানা খেয়াল দেখা দিতে আরম্ভ করেছে । কবির সঙ্গে যেন এক জন শিল্পী এসে যোগ দিল ।