পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পনা পসারিনী ওগো পসারিনী, দেখি আয় কী রয়েছে তব পসরায় । এত ভার মরি মরি কেমনে রয়েছ ধরি কোমল করুণ ক্লাস্তকায় ! কোথা কোন রাজপুরে যাবে আরো কত দূরে কিসের দুরূহ তুরাশায় ! সম্মুখে দেখো তে চাহি পথের যে সীমা নাহি, তপ্ত বালু অগ্নিবাণ হানে । পসারিনী, কথা রাখে— দূর পথে যেয়ে নাকো, ক্ষণেক দাড়াও এইখানে । হেথা দেখো শাখা-ঢাকা বাধা বটতল— কুলে কুলে ভরা দিঘি, কাকচক্ষু জল । ঢালু পাড়ি চারি পাশে কচি কচি কাচা ঘাসে ঘনশু্যাম চিকনকোমল । পাষাণের ঘাটখানি, কেহ নাই জনপ্রাণী, আগস্রবন নিবিড় শীতল । থাক তব বিকি-কিনি— ওগো শ্রাস্ত পসারিনী, এইখানে বিছাও অঞ্চল । ব্যথিত চরণ দুটি ধুয়ে নিবে জলে, বনফুলে মালা গাথি পরি নিবে গলে । আম্রমঞ্জরীর গন্ধ বহি অগনি মৃদুমন্দ বায়ু তব উড়াবে অলক— ঘুঘু-ডাকে ঝিল্লিরবে কী মন্ত্র শ্রবণে কবে, মুদে যাবে চোখের পলক । পসরা নামায়ে ভূমে যদি ঢুলে পড় ঘুমে, অঙ্গে লাগে মুখালসঘোর— ১৩৭