পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় i 484 লয়, জীবনের প্রকাশের মধ্য দিয়া সেই অমৃতকে তখন সে শোধ করিয়া দেয় না। বিশ্বপ্রকৃতিতে ও মানবপ্রকৃতিতে এই অমৃতের প্রকাশকেই বলে সৌন্দৰ্য : আনন্দরূপ भयूङग्रु। - р রাজসন্ন্যাসী উপনন্দকে দেখাইয়া দিয়া বলিয়াছেন, এই ঋণশোধেই যথার্থ ছুটি, যথার্থ মুক্তি। নিজের মধ্যে অমৃতের প্রকাশ যতই সম্পূর্ণ হইতে থাকে ততই বন্ধন মোচন হয় ; কর্মকে এড়াইয়া, তপস্যায় ফাকি দিয়া, পরিত্রাণলাভ হয় না । তাই তিনি উপনন্দকে বলিয়াছেন, ‘তুমি পংক্তির পর পংক্তি লিখছ আর ছুটির পর ছুটি পাচ্ছ ’ এই লইয়া সন্ন্যাসীতে ঠাকুরদাদাতে যে কথাবার্তা হইয়াছে নীচে তাহা উদ্ধৃত করিলাম— து. সন্ন্যাসী। আমি অনেক দিন ভেবেছি জগৎ এমন আশ্চর্য সুন্দর কেন ?... আজ স্পষ্ট প্রত্যক্ষ দেখতে পাচ্ছি— জগৎ আনন্দের ঋণ শোধ করছে। বড়ো সহজে করছে না, নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে সমস্ত ত্যাগ ক'রে করছে।... কোথাও সাধনার এতটুকু বিশ্রাম নেই, সেইজন্তেই এত সৌন্দৰ্য । ঠাকুরদাদা। এক দিকে অনন্ত ভাণ্ডার থেকে তিনি কেবলই ঢেলে দিচ্ছেন আর-এক দিকে কঠিন দুঃখে তারই শোধ চলছে।... এই দুঃখের জোরেই পাওয়ার সঙ্গে দেওয়ার ওজন বেশ সমান থেকে যাচ্ছে, মিলনটি সুন্দর হয়ে উঠেছে। সন্ন্যাসী । ঠাকুর্দ, যেখানে আলস্ত, যেখানে কৃপণতা, যেখানেই ঋণশোধে ঢিল পড়ে যাচ্ছে, সেইখানেই সমস্ত কুখ্ৰী. अिङ्कत्वमान। नरेथाप्नई cय ७क एक कन्न प्लू बाग्न, अछ °प्क्छ जस्त्र भिजन शूरबा श्रङ পায় না। সন্ন্যাসী। লক্ষ্মী যখন মানবের মতলোকে আসেন তখন দুঃখিনী হয়েই আসেন ; উর সেই সাধনার তপস্বিনীবেশেই ভগবান মুগ্ধ. শত দুঃখেরই দলে স্তরে সোনার পদ্ম সংসারে ফুটে উঠেছে. লক্ষ্মী সৌন্দর্য ও সম্পদের দেবী ; গৌরী যেমন - তপস্যা করিয়া শিবকে পাইয়াছিলেন, মর্তলোকে লক্ষ্মীও তেমনি দুঃখের সাধনার দ্বারাই ভগবানের সহিত মিলন লাভ করেন। যে মানুষ বা যে জাতির মধ্যে এই ত্যাগ নাই, তপস্যা নাই, দুঃখস্বীকারে জড়তা, সেখানে লক্ষ্মী নাই, সুতরাং সেখানে ভগবানের প্রেম আকৃষ্ট হয় না | উপনন্দ তাহার প্রভূর নিকট হইতে প্রেম পাইয়াছিল, ত্যাগস্বীকারের দ্বারা প্রতিদানের পথ বাহিয়া সে যতই সেই প্রেমদানের সমান ক্ষেত্রে উঠতেছে ততই সে মুক্তির