পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ আষাঢ় ক্ষণিকা ভোরের গোলাপ সে গানে সহস৷ সাড়া দেয় ফুলকাননে, ভোরের তারাটি সে গানে জাগিয়া চেয়ে দেখে মোর আননে । সব সংসার কাছে আসে ঘিরে, প্রিয়জন সুখে ভাসে আঁখিনীরে, হাসি জেগে ওঠে ভবনে । যে নামে যে ছলে বীণাটি বাজাই সাড়া পাই সারা ভুবনে । নিশীথে নিশীথে বিপুল প্রাসাদে তোমার মহলে মহলে । হাজার হাজার সোনার প্রদীপ জলে অচপল অনলে । মোর দীপে জেলে তাহারি অালোক পথ দিয়ে আসি, হাসে কত লোক, দূরে যেতে হয় পালায়ে— তাই তো সে শিখা ভবনশিখরে পারি নে রাখিতে জালায়ে । বলি নে তো কারে, সকালে বিকালে তোমার পথের মাঝেতে বাশি বুকে লয়ে বিনা কাজে আসি বেড়াই ছদ্মসাজেতে । যাহা মুখে আসে গাই সেই গান নানা রাগিণীতে দিয়ে নানা তান, এক গান রাখি গোপনে । নানা মুখপানে আঁখি মেলি চাই, তোমা-পানে চাই স্বপনে । ৩৩১