পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ রবীন্দ্র-রচনাবলী তামা। (সস্নেহে সপুলকে ) কেন বাবা, তুমি আমার ছেলের মতে, তোমাকে দেখা দিতে দোষ কী ! আশু । স্নেহ রাখবেন । আশীৰ্বাদ করবেন, এই অনুগ্রহ থেকে কখনো বঞ্চিত না श्झे । i শুাম । বাবা, তোমার কথা শুনে আমার কান জুড়োল, আমি নিশ্চয়ই অনেক তপস্যা করেছিলেম, তাই— আশু । মাতাজি, আপনি তপস্যার দ্বারা যে নিরুপমা-সম্পদ লাভ করেছেন, আমাকে তার— শু্যাম । তোমাকে দেবার জন্যেই তো প্রস্তুত হয়ে এসেছি । অনেক সন্ধান করে যোগ্যপাত্র পেয়েছি, এখন দিতে পারলেই তো নিশ্চিন্ত হই। আণ্ড । (খামার পদধূলি লইয়া) মাতাজি, আমাকে কৃতাৰ্থ করলেন ; এত সহজেই যে ফললাভ করব, এ আমি স্বপ্নেও জানতুম না। শু্যাম । বল কী বাবা, তোমার আগ্রহ যত আমার আগ্রহ তার চেয়ে বেশি। আশু । তা হলে যে কামনা করে এসেছিলেম, আজ কি তার কিছু পরিচয়— শু্যাম । পরিচয় হবে বৈকি বাবা, আমার তাতে কোনো আপত্তি নেই। আশু । আপত্তি নেই মাতাজি ? শুনে বড়ো আরাম পেলেম— শু্যাম । দেখাশুনা সমস্তই হবে বাবা, আগে কিছু খেয়ে নাও । আশু। আবার খাওয়া! আপনি আমাকে যথার্থ জননীর মতোই স্নেহ দেখালেন । খামা। তুমিও আমাকে মার মতোই দেখবে, এই আমার প্রাণের ইচ্ছ। আমার তো ছেলে নেই, তুমিই আমার ছেলের মতে থাকবে। আহার্য লইয়া ভূত্যের প্রবেশ আশু । করেছেন কী ! এত আয়োজন ! খাম । আয়োজন আর কী করলেম ? আজই ঠিক আসতে পারবে কিনা মনে একটু সন্দেহ ছিল, তাই— - আশু । সন্দেহ ছিল ? আপনি কিজানতেন আমি আসব ? শু্যাম । তা জানতেম বৈকি । i. আশু। (আত্মগত ) কী আশ্চর্য! আমাকে না জেনেই আমার জন্তে পূর্ব হতেই অপেক্ষা করছিলেন ? তবু অন্নদা যোগবলে বিশ্বাস করে না ! তাকে বললে বোধ হয় ঠাট্টা করেই উড়িয়ে দেবে। [ আহারে প্রবৃত্ত