পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\უთ 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী অভিনয়স্থচি বহুবিবাহ প্রহসন কেমন করিয়া একটিকে লইয়াই বহুবিবাহ ঘটতে পারে এই প্রহসনে তাহাই প্রমাণিত হইয়াছে। প্রথম দৃগু : আশুর বাড়ি অন্নদা স্ত্রী-সত্ত্বেও দৈবদুর্যোগে স্ত্রীহারা। তিনি আশুর সহিত দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্ধানের আলোচনায় রত। ৪৯ নম্বরের রামবৈরাগীর গলিতে পশ্চিম হইতে এক বিধবা র্তাহার বিবাহযোগ্য কুমারী কস্ত মনোরমার যোগ্য পাত্র খুজিতেছেন। তাহাকে দেখিতে যাইবার পরামর্শ। কুমারব্রতধারী আশু যোগবিদ্যা চান, তিনি স্ত্রী চান না। র্তাহার অনুবতী রাধাচরণ সংবাদ দিল যে, মস্ত্রে তন্ত্রে সিদ্ধা মাতাজি ২২ নম্বর ভেড়াতলার যোগবিদ্যা দান করিবার যোগ্য পাত্র খুজিতেছেন। অন্নদা কস্তার সন্ধানে চলিল ৪৯ নম্বরে, আশু যোগবিদ্যার সন্ধানে চলিল ২২ নম্বরে । দ্বিতীয় দৃষ্ঠা : ২২ নম্বর ভেড়াতল৷ মাতজি অনুভব করিয়াছেন, মন্ত্রসাধনার পক্ষে ২২ নম্বরটি অমুকুল নহে। বাড়ি বদল করিতে চান । বাড়িওয়ালার ৪৯ নম্বরের বাড়িতে পশ্চিম হইতে কস্তাসহ এক বিধবা মহিলা আসিয়াছেন । স্থির হইল তাহার ৪৯ নম্বরের সহিত মাতাজির ২২ নম্বরের বাসা বদল করা হইবে। তৃতীয় দৃষ্ঠা : ২২ নম্বর ভেড়াতলা কন্যার মা আশঙ্কা করিতেছেন, যে-ছেলেটি মেয়ে দেখিতে আসিবে পাছে সে ৪৯ নম্বরে গিয়া খবর না পায় । এমন সময় যোগবিদ্যাপ্রার্থ মাশু আসিয়া উপস্থিত। তাহরু প্রার্থনার কিরূপ পূরণ হইল এই দৃষ্ঠে প্রকাশ পাইবে । গান। কী বলে করিব নিবেদন— চতুর্থ দৃগু : ৪৯ নম্বর রামবৈরাগীর গলি বিবাহযোগ্য। কন্যা দেখিতে আসিয়া ৪৯ নম্বরে অন্নদার কেমন করিয়া যোগবিদ্যার পরিচয় লাভ ঘটিল এই দৃষ্ঠে তাহাই বর্ণিত । গান। এবার বুঝি সোনার মৃগ— সমাপ্ত ফাল্গুনী : গীতিনাট্য এককেই কোন পথে হারাইয়া ফিরিয়া ফিরিয়া পাই, সেই রহস্ত এই গীতিনাট্যে প্রকাশ হইয়াছে। ভূমিকা ফাঙ্কনে বনে বনে নববসন্তের চর ও অনুচরগণের আবির্ভাব । বেণুবনের গান দখিন হাওয়া—