পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2Wり রবীন্দ্র-রচনাবলী রাখিপূর্ণিমা কাহারে পরাব রাথি যৌবনের রাখিপূর্ণিমায়, হে মোর ভাগ্যের দেব । লগ্ন যেন বহে নাহি যায়। " মেঘে আজি আবিষ্ট অম্বর, ঘন বৃষ্টি-আচ্ছাদনে অস্পষ্ট আলোর মন্ত্র আকাশ নিবিষ্ট হয়ে শোনে, বুঝিতে পারে না ভালো। আমি ভাবিতেছি একা বসে আমার বাঞ্ছিত কবে বাহিরিল প্রচ্ছন্ন প্রদোষে চিহ্নহীন পথে। এসেছিল দ্বারের সম্মুখে মোর ক্ষণতরে। তখনো রজনী মম হয় নাই ভোর, হৃদয় অস্ফুট ছিল অর্ধ জাগরণে। ডাকে নি সে নাম ধরে, দুয়ারে করে নি করাঘাত, গেছে মিশে সমুদ্রতরঙ্গরবে তাহার অশ্বের হেষাধনি। হে বীর অপরিচিত, শেষ হল আমার রজনী, জানা তো হল না কোন দুঃসাধ্যের সাধন লাগিয়া অস্ত্র তব উঠিল ঝঞ্চনি। আমি রহিমু জাগিয়া। ৩১ অগস্ট ১৯২৮ আহবান কোথা আছ ? ডাকি আমি। শোনো শোনো, আছে প্রয়োজন একান্ত আমারে তব । আমি নহি তোমার বন্ধন ;– পথের সম্বল মোর প্রাণে । দুর্গমে চলেছ তুমি নীরস নিষ্ঠুর পথে,— উপবাসহিংস্র সেই ভূমি আতিথ্যবিহীন ; উদ্ধত নিষেধদও রাত্রিদিন উদ্যত করিয়া আছে উর্ধ্ব-পানে। আমি ক্লান্তিহীন সেই সঙ্গ দিতে পারি, প্রাণবেগে বহন যে করে শুশ্ৰুষার পূর্ণশক্তি আপনার নিঃশঙ্ক অস্তরে,— যথা রুক্ষ রিক্তবৃক্ষ শৈলবক্ষ ভেদি অহরহ দুর্দাম নিঝরে ঢালে দুৰ্নিবার সেবার আগ্রহ,