পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহুয়া নিযুপ্ত প্রহরে, অহৈতুক বারিবিন্দু ঝরে আঁথিকোণে ; যুগান্তরপার হতে কোন পুরাণের কথা শোনে। ইচ্ছা করে সেই রাতে লিপিখানি লেখে ভূৰ্জপাতে লেখনীতে ভরি লয়ে দুঃখে-গলা কাজলের কালি,— নাম কি খেয়ালী । কাকলী কলছন্দে পুর্ণ তার প্রাণ,— নিত্য বহমান ভাষার কল্লোলে জাগাইয়া তোলে চারিধারে প্রত্যহের জড়তারে ; সংগীতে তরঙ্গ তুলি, হাসিতে ফেনিল তার ছোটো দিনগুলি আঁখি তার কথা কয়, বাহুভঙ্গী কত কথা বলে, চরণ যখন চলে কথা কয়ে যায়— যে-কথাটি অরণ্যের পাতায় পাতায়, যে-কথাটি ঢেউ তোলে আশ্বিনে ধানের খেতে— প্রান্ত হতে প্রান্তে যায় চলে, যে-কথাটি নিশীথতিমিরে তারায় তারায় র্কাপে অধীর মির্মিরে, যে-কথাটি মহুয়ার বনে মধুপগুঞ্জনে সারাবেল উঠিছে চঞ্চলি,— নাম কি কাকলী। ۹ و ۰