পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী সহসা চকিত হয়ে আপন সংগীতে চমকিয়া হেরিলাম— খেলাক্ষেত্র হতে কখন অন্তরলক্ষ্মী এসেছ অন্তরে, আপনার অস্তঃপুরে গৌরবের ভরে বসি আছ মহিষীর মতো । কে তোমারে এনেছিল বরণ করিয়া । পুরদ্বারে কে দিয়েছে হুলুধ্বনি । ভরিয়া অঞ্চল কে করেছে বরিষন নব পুষ্পদল তোমার আনন্ত্র শিরে আনন্দে আদরে । সুন্দর সাহান রাগে বংশীর স্ব স্বরে কণী উৎসব হয়েছিল আমার জগতে, যেদিন প্রথম তুমি পুষ্প ফুল্ল পথে লজ্জামুকুলিত মুখে রক্তিম অম্বরে বধু হয়ে প্রবেশিলে চিরদিনতরে আমার অস্তর-গৃহে— যে গুপ্ত আলয়ে অন্তর্যামী জেগে আছে সুখদুঃখ লয়ে, যেখানে আমার যত লজ্জা আশা ভয় সদা কম্পমান, পরশ নাহিকে সয় এত সুকুমার । ছিলে খেলার সঙ্গিনী, এখন হয়েছ মোর মর্মের গেহিনী, জীবনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী । কোথা সেই অমূলক হাসি-অশ্র, সে চাঞ্চল্য নেই, সে বাহুল্য কথা । স্নিগ্ধ দৃষ্টি স্থগভীর স্বচ্ছ নীলাম্বরসম ; হাসিখানি স্থির অশ্রুশিশিরেতে ধৌত ; পরিপূর্ণ দেহ মঞ্জরিত বল্লরীর মতো ; প্রীতিস্নেহ গম্ভীর সংগীত-তানে উঠিছে ধ্বনিয়া স্বর্ণবীণাতন্ত্রী হতে রনিয়া রনিয়া অনন্ত বেদনা বহি । সে অবধি প্রিয়ে, রয়েছি বিস্মিত হয়ে তোমারে চাহিয়ে ہجہا\