পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vs রবীন্দ্র-রচনাবলী কোন দেবতার ছিল মানসলোকে, এল আমার গানের ডাকে ডাকা । সে-রূপ আমার দেখবে ছায়ালোকে যে-রূপ তোমার পরান দিয়ে অঁাকা ৯ আশ্বিন ১৩৩৫ প্রচ্ছন্ন৷ বিদেশে ঐ সৌধশিখর-’পরে ক্ষণকালের তরে পথ হতে-যে দেখেছিলেম, ওগো অভ্যাধেক-দেখা, মনে হল তুমি অসীম এক দাড়িয়েছিলে যেন আমার একটি বিজন খনে আর কিছু নাই সেথায় ত্রিভুবনে । সামনে তোমার মুক্ত আকাশ, অরণ্যতল নীচে, ক্ষণে ক্ষণে ঝাউয়ের শাখা প্রলাপ মর্মরিছে । মুখ দেখা না যায়, পিঠের পরে বেণীটি লুটায়। থামের পাশে হেলান-দেওয়া ঈষৎ দেখি আধখানি ঐ দেহ, অসম্পূর্ণ কয়টি রেখায় কী যেন সন্দেহ । বন্দিনী কি ভোগের কারাগারে, ভাবনা তোমার উড়ে চলে দূর দিগন্তপারে ? সোনার বরন শস্তখেতে, কোন-সে নদীতীরে পুজারীদের চলার পথে, উচ্চচূড়া দেবতামন্দিরে তোমার চিরপরিচিত প্রভাত-আলোথানি, তারি স্মৃতি চক্ষে তোমার জল কি দিল আনি । কিম্বা তুমি রাজেন্দ্রসোহাগী, সেই বহুবল্লভের প্রেমে দ্বিধার দুঃখ হৃদয়ে রয় জাগি,