পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দ্বাবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী V 58 যাবার সময় হল বিহঙ্গের । এখনি কুলায় রিক্ত হবে। স্তন্ধগীতি ভ্ৰষ্টনীড় পড়িবে ধুলায় অরণ্যের আন্দোলনে। শুষ্কপত্র-জীর্ণপুষ্প-সাথে পথচিহ্নহীন শূন্তে যাব উড়ে রজনীপ্রভাতে অস্তসিন্ধুপরপারে। কত কাল এই বসুন্ধরা আতিথ্য দিয়েছে ; কতু আম্রমুকুলের গন্ধে ভরা পেয়েছি আহবানবাণী ফাস্তুনের দাক্ষিণ্যে মধুর ; অশোকের মঞ্জরী সে ইঙ্গিতে চেয়েছে মোর স্বর, দিয়েছি তা প্রীতিরসে ভরি ; কখনো বা ঝঞ্চাঘাতে বৈশাখের, কণ্ঠ মোর রুধিয়াছে উত্তপ্ত ধুলাতে, পক্ষ মোর করেছে অক্ষম— সব নিয়ে ধন্য আমি প্রাণের সম্মানে । এ পারের ক্লান্ত যাত্রা গেলে থামি, ক্ষণতরে পশ্চাতে ফিরিয়া মোর নম্র নমস্কারে বন্দনা করিয়া যাব এ জন্মের অধিদেবতারে । শাস্তিনিকেতন ১৫ বৈশাখ ১৩৪১ Ꮌ ☾ অবরুদ্ধ ছিল বায়ু, দৈত্যসম পুঞ্জ মেঘভার ছায়ার প্রহরীকৃহে ঘিরে ছিল সুর্যের দুয়ার ; অভিভূত আলোকের মূৰ্ছাতুর মান অসম্মানে দিগন্ত আছিল বাষ্পাকুল । যেন চেয়ে ভূমিপানে অবসাদে-অবনত ক্ষীণশ্বাস চিরপ্রাচীনতা স্তন্ধ হয়ে আছে বসে দীর্ঘকাল, ভুলে গেছে কথা, ক্লাস্তিভারে আঁখিপাতা বদ্ধপ্রায় । শূন্তে হেনকালে জয়শঙ্খ উঠিল বাজিয়া। চন্দনতিলক ভালে